যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে দুই তরুণী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। ধর্ষনের শিকার তরুনীদ্বয় এলাকার স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবার মামলা করতেও সাহস পাচ্ছে না। এমনকি ধর্ষকদের হুমকির মুখে বিষয়টি প্রকাশ করতে পারেনি ধর্ষণের শিকার তরুণীদের আত্মীয় স্বজনরা। উপজেলার ছোটপোদাউলিয়া গ্রামে মালয়েশিয়া প্রবাসী টুকুর বাড়ীতে রোববার সন্ধ্যায় এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। ধর্ষকদের হুমকির মুখে বিষয়টি প্রকাশ করতে পারেনি ধর্ষণের শিকার তরুণীদের আত্মীয় স্বজনরা। ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবার মামলা করতেও সাহস পাচ্ছে না। গ্রাম্য শালিসে বিষয়টি নিস্পত্তির চেস্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর এলাকার কতিপয় লোক ঘটনাটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেন। জানা গেছে, ঝিকরগাছা উপজেলার উলাকোল গ্রামের ওই তরুণীদ্বয় একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী গ্রাম ছোটপোদাউলিয়া গ্রামের আতœীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। রবিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধার দিকে তারা বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ছোটপোদউলিয়া গ্রামের মতলেব মোড়লের ছেলে মাজহারুল (৩০) ও উলাকোল গ্রামের জামছেদের ছেলে জাহিদ (২০) সহ ৫/৬ জন লম্পট যুবক তাদেরকে জোর করে ধরে মাজহারুলের ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী টুকুর বাড়িতে নিয়ে তরুণীদ্বয়কে পালাক্রমে ধর্ষন করে। ধর্ষনের শিকার তরুণীদ্বয়ের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এলে ধর্ষণকারী লম্পটরা পালিয়ে যায়। ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবার মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ছোটপোদাউলিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান বলেন, ধর্ষনের মত জঘন্যতম অপরাধ মেনে নেয়া যায় না। তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু ভিক্টিমের পরিবার দূর্বল হওয়ায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না। এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী ইনচার্জ এএসআই রাম প্রসাদ জানান, ধর্ষনের ঘটনাটি আমি শুনেছি। যতদ্রুত সম্ভব আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।