সব অপারেটরের মোবাইল ফোন সিমের আবার পুন:নিবন্ধন করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রায় ১৩ কোটি সিমের নিবন্ধনের কাজ শেষ করতে হবে।
রোববার টেলিযোগাযাগ মন্ত্রনালয়ের এক বৈঠকে নেওয়া এ সিদ্ধান্ত দ্রুত মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে জানানো হবে। নিবন্ধনবিহীন ও ভুয়া পরিচয়ে সিমকার্ড ব্যবহার করে অপরাধ বন্ধে মূলত এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসির ঠৈবকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
ও তালিকাও প্রথমবারের মতো করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে নিবন্ধন শুরুর আগে নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজের কানেকটিভিটি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আজ-কালের মধ্যে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি লিখবেন তারানা হালিম।
আর একই সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চলতি সপ্তাহেই বৈঠক করবেন প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে ২০০৮ সালেও একবার সব সিমের পুন:নিবন্ধন হয়েছিল। তবে তখন জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো গ্রহণযোগ্য কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় ওই প্রক্রিয়া তেমন কাজে লাগেনি।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইল ফোনকেন্দ্রিক বিভিন্ন অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের নীতিনির্ধারকরা বেশ কিছু দিন থেকেই নতুন করে নিবন্ধনের কথা ভাবতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারানা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিবেচনায় সব অপরাধের সূত্রে থাকছে মোবাইল সিম। তাই এটির সঠিক নিবন্ধন হওয়া খুবই জরুরি।
সাম্প্রতকি সময়ে প্রতিমন্ত্রী নিজেও অনিবন্ধিত সিমের খোঁজে রাস্তায় নেমে অভিযান পরিচালনা করছেন।
একই সঙ্গে সকল জেলা প্রশাসককেও এমন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য চিঠি লিখেছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
তারানা হালিম বলেন, সরকার ডিজিটালাইজেশনের জন্য কাজ করছে। সিমের পুননিবন্ধন হলে তা এ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে না। টেলিযোগাযোগ বাজারকেও অস্থিতিশীল করতে চান না তারা। কিন্তু তাই বলে প্রযুক্তির সহায়তায় অপরাধ চলতে থাকবে এমন পরিস্থিতিও মেনে নেওয়া যায় না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বর্তমানে দেশে কার্যকর থাকা ১২ কোটি ৮৭ লাখ মোবাইল সিমের সবগুলোই পুন:নিবন্ধন করতে হবে। বর্তমানে মোট সিমের ৩০ শতাংশের পুননিবন্ধন রয়েছে।
মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো না কোনো সময় অপারেটরগুলোকে পুন:নিবন্ধন করতেই হতো। সেটা এখন হয়ে যাওয়াই ভালো।
তবে এক্ষেত্রে গ্রাহক ভোগান্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর খরচও কয়েকশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।