এদিকে আজ নিজ দপ্তরে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১,০২৪টি কোচ যাত্রী পরিবহন করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন আড়াই লাখ যাত্রী এসব কোচে যাতায়াত করবে। এছাড়া আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই রেলওয়েতে যোগ হবে আরো ২৭০টি নতুন কোচ।
মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার যাত্রী রাজধানী ছাড়বেন। টিকিট কালোবাজারি রোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কাউন্টার ও স্টেশনে অর্ধশতাধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। স্টেশন এলাকায় রেলওয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব ও ম্যাজিস্ট্রেট স্টেশনে রয়েছে। টিকিট বিক্রি ও যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এদিক ঢাকা রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আজ ১৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রয় শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রয় করা হবে। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০ সেপ্টেম্বরের, ১৬ সেপ্টেম্বর ২১ সেপ্টেম্বরের, ১৭ সেপ্টেম্বর ২২ সেপ্টেম্বরের, ১৮ সেপ্টেম্বর ২৩ সেপ্টেম্বরের ও ১৯ সেপ্টেম্বর ২৪ সেপ্টেম্বরের অগ্রিম টিকিট কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২০টি কাউন্টার থেকে একযোগে বিক্রয় করা হবে। ঈদের ৫ দিন আগ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনগুলোয় সেলুন বরাদ্দ দেয়া হবে না। ঈদ ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে শুধু কমলাপুর, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ই-টিকিটের ২৫ শতাংশ ও ভিআইপি এবং রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও ১০ শতাংশ মোট ৩৫ শতাংশ টিকিট ছাড়া বাকি সব টিকিট কাউন্টার থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রয় করা হবে। একজন যাত্রী ৪টি টিকিটের বেশি ক্রয় করতে পারবেন না। ই-টিকিট ও ভিআইপি টিকিট নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
এদিকে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ, যাত্রীসেবা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে কমলাপুর, চট্টগ্রামসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে নামানো হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অতিরিক্ত সদস্য। অধিক যাত্রী পরিবহনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭ জোড়া বিশেষ ট্রেন, ২ জোড়া স্পেশাল ট্রেন, ১৩৪টি যাত্রীবাহী বগি ও ২৫টি ইঞ্জিন।