নেপালে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করার ঘোষণা

0

Indian_channel-mনেপালে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল আজ মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কেব্‌ল টিভি অপারেটররা। নতুন সংবিধান প্রণয়নকে কেন্দ্র করে নেপালের ওপর অনানুষ্ঠানিক অবরোধ আরোপ ও দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের নাক গলানোর অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

নেপালের কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, আজ সকাল ১০টা থেকে নেপালে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার ফেডারেশন অব নেপাল কেব্‌ল টেলিভিশন অ্যাসোসিয়েশন সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশীল পারাজুলি বলেন, এটি প্রতীকী। নেপালে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করতে তাদের ওপর চাপ আসছিল। তাই তাঁরা স্থানীয় সময় আজ সকাল ১০টা থেকে ওই সব চ্যানেল দেখানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। ইতিমধ্যে নেপালের পোখারা, চিতোয়ান ও মহেন্দ্রনগরে ভারতীয় হিন্দি চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, নতুন সংবিধান নিয়ে প্রভাবশালী প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে নেপালের খানিকটা তিক্ততার সৃষ্টি হয়। যদিও দেশটিতে নতুন সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় কয়েক দশক ধরেই অন্যতম সমর্থনকারী দেশ ভারত। কিন্তু নতুন সংবিধানের বিষয়ে ভারতের মত, এটা যথেষ্ট ব্যাপকতার ভিত্তিতে হয়নি। সংবিধানকে কেন্দ্র করে দেশটিতে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে, যার আঁচ লাগবে ভারতেও।

ভারতের উদ্বেগের আরেকটি কারণ, দুই দেশের সীমান্তসংলগ্ন নেপালের তেরাই এলাকায় নতুন সংবিধান নিয়ে ব্যাপক সহিংস প্রতিক্রিয়া। ওই অঞ্চলের বাসিন্দা জাতিগত মদেশি ও থারু সংখ্যালঘুরা নতুন সংবিধান নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের আশঙ্কা, প্রদেশে ভাগ হয়ে গেলে তারা রাজনৈতিকভাবে প্রান্তিক হয়ে পড়বে। মদেশি ও থারু জনগোষ্ঠী মিলে নেপালের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ। মদেশিদের সঙ্গে ভারতের কিছু জায়গার জাতিগত ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।

ভারত বরাবরই বলে আসছে, আরও আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানটি প্রণয়ন করা যাতে বিরোধ কমে আসে। সংবিধানের বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসারও আহ্বান জানিয়েছে ভারত।

হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ নেপাল। তবে নতুন সংবিধান অনুযায়ী, দেশটি এখন ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র। কেন্দ্রশাসিত সাতটি প্রদেশে বিভক্ত হচ্ছে দেশটি। এ ছাড়া নতুন সংবিধানে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা, প্রাচীন যুগ থেকে প্রচলিত ধর্ম ও সংস্কৃতির সুরক্ষা, ধর্মান্তরকরণে নিষেধাজ্ঞা, ধর্মীয় ও লৈঙ্গিক সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি বিষয়গুলো আছে। সূত্রঃ প্রথম আলো

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More