একটা সময় বাংলা চলচ্চিত্র অশ্লীলতার ছোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই সব অশ্লিলতার দৃশ্যে অভিনয় করেছেন নাছরিন, ময়ূরী, মুনমুন, শানুসহ আরও অনেকেই। তবে তারা কিন্তু এখন কেউ মিডিয়াতে নেই। তখনকার সময়ে যে দৃশ্য দেখতে পাওয়া যেত তা ঠিক আছে বলেই উপরোক্ত নায়িকারা মনে করতেন। মুনমুন তো একবার বলেই ফেলেছিলেন তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘নিষিদ্ধ নারী’ নিয়ে। নগ্নতাই অশ্লীলতা নয়। আসলেও কথাটি ঠিক ছিল। তবে কথা মত কাজটি তিনি আর করতে পারেননি। তিনি যা করেছিলেন তা অশ্লীলতাই ছিল। বিনা কারণে মানুষের শরীরের বস্ত্র খুলে ফেলা মানেই হলো অশ্লীলতা। এটা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বর্তমানে বাংলা চলচ্চিত্রে এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। এখন আর অশ্লীল দৃশ্য দেখতে না পাওয়া গেলেও নারীর শরীরকে শিল্পের চোখেই দেখা হয়। এতে দোষ নেই। বলিউড অথবা হলিউডের দিকে একটু নজর দিলেই দেখতে পাওয়া যায়। একজন নারীর শরীরকে শিল্পের চোখেই দেখা হয়ে থাকে। তবে হলিউডের যা হয় তা তাদেরই সংস্কৃতি। কিন্তু আমাদের দেশে অথবা বলিউডে কি দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। বলিউড এখন পুরোপুরি হলিউডের পথে রয়েছে। বলিউডের সংস্কৃতি আর আমাদের সংস্কৃতি কিন্তু প্রায় সমানে সমান। তবে আমরা কেন পিছিয়ে। আমরাও যেতে পারি যুগের সাথে তালে তাল মিলিয়ে ছন্দে ছন্দে। বাংলাদেশের আলোচিত মডেল খোলামেলা জ্যাকলিন মিথিলা। তার ফেসবুকে প্রবেশ করলে তাকে বেশ খোলামেলাই পাওয়া যায়। তবে তার এই খোলামেলা দেহের ছবিতে কোন শিল্পের ছোঁয়া আছে আদ্যে প্রশ্ন করার মত। অনেক জল্পনার কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি তার প্রথম মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তার ফেসবুকে দেয়া ছবির সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে। কিন্তু তার ফেসবুকে গুডনাইট আর গুড মর্নিংয়ের যে ছবি গুলো নিয়মিত আপলোড দেন। তা রীতিমত অশ্লীলতার মধ্যেই পড়ে যায়। খোলামেলা ছবি গুলো আপলোড দিয়ে তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়লেও। পরবর্তীতে সেই ছবি গুলো দেখে তরুণ ছেলেদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। কিন্তু আর বলার প্রয়োজন হয় না। এই ধরনের ছবি দিয়ে তিনি কি আবারও প্রমান করতে চান তিনি একজন অশ্লীল মডেল? নাকি তিনি আবারও বাংলা চলচ্চিত্রে ঘটে যাওয়া নায়িকাদের মত অশ্লীল নায়িকা হতে চান? এ সব প্রশ্নের উত্তর হয়তো সময়ই বলে দিবে। সেই সব নায়িকাদের মত যারা বর্তমান সময়ে নেই।