ফাঁসির আসামি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান পরিবারের সদস্যরা।
আইনজীবীদের পর এবার পরিবারের সদস্যরা মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
সর্বোচ্চ আদালতের সাজার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার জন্য আর এক সপ্তাহ সময় পাবেন মুজাহিদ।
মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান, তিন ছেলে আলী আহমেদ তাজজীদ, আলী আহমেদ তাহকীক ও আলী আহমেদ মাবরুর এবং মেযে তামরীন আজ সকাল পৌনে ১১টায় কারা ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।
আধা ঘণ্টা পর বেরিয়ে এসে মহিলা জামায়াতের শুরা সদস্য তামান্না বলেন, আমার স্বামী অত্যন্ত সৎ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, উনি ন্যায়বিচার পাবেন এবং খালাস পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে আসবেন। তাকে ‘সম্পর্ণ নির্দোষ’ বলেন তিনি।
আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার বিষয়টি আইনজীবীরা দেখছেন বলে জানান মুজাহিদের স্ত্রী।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেলসুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ হিসেবে তারা এসেছিলেন। পরিবারের পাঁচ সদস্য সকাল ১০টা ৫০থেকে ১১টা ২০ পর্যন্ত আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আপিল বিভাগ গত ৩০ সেপ্টেম্বর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধ মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করে। পরদিন দুই আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এবং পরে তা কারা-কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদ এবং কাশিমপুর কারাগারে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ।