জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। আওয়ামী ওলামা লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ও ঢাকা মহানগর ও কদমতলী থানা ওলামা লীগের অন্য একটি গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইলিয়াস বিন হেলালী ঢাকা মহানগর ও কদমতলী থানা ওলামা লীগের মানববন্ধন কর্মসূচির অতিথি ছিলেন। ধাওয়া-ধাওয়িতে কদমতলী থানা ওলামা লীগের নেতাকর্মীদের হাতে পিস্তল ও লাঠি দেখা যায়। ধাওয়া খেয়ে টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি পিছু হটে। এ সময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। কিলঘুষিতে ও টানাটানিতে অনেকের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায় এবং মাধার টুপি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ইলিয়াস বিন হেলালী বলেন, মহানবির সা. কার্টুন প্রদর্শনীর ছবি পত্রিকায় ছাপা নিষিদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা চাওয়ার জন্য আমরা এ কর্মসূচির আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু ওরা এসেছিলো বিশৃঙ্খলা করতে। আসলে পালিয়ে যাওয়া গ্রুপটি ওলামা লীগের কেউ নয়, তারা হলেন জামাত-শিবিরের কর্মী। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আর পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার বা লাঠিচার্জ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওলামা লীগের ইলিয়াস ও আখতার হোসাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরষ্কার পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী যখন মানববন্ধনে আসেন তখনই টুপি পরিহিত অর্ধশতাধিক লোক লাঠি, চাপাতি নিয়ে পাশেই থাকা আখতার গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা চালান।