আগামীতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ইলেক্ট্রনিক কার্ড-স্মার্টকার্ড পাসপোর্ট হিসেবে ব্যবহৃত হবে তখন আর নাগরিকদের পাসপোর্ট লাগবেনা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, সোমবার নির্বাচন কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন জানান, আগামীতে যাতে পাসপোর্টের কাজ স্মার্টকার্ডে করা জায়, সে জন্য আমরা উদ্দ্যেগ নিয়েছি ।স্মার্টকার্ড তৈরি করার সময় এরকম একটি অফসন আমরা রেখেছিলাম।
কিছু দিনের মধ্যে সরকারের সাথে আলোচনা করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি জানান, উন্নতমানে এই কার্ড ব্যবহার করে ২০ ধরনের নাগরিক সেবা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ভবিষতে ই-পোসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন সেবাসহ বহুবিধ ব্যবহারে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এটি পৃথিবীর যে কোনো দেশের স্মার্ট কার্ডের চেয়ে এটি বেশি মেমোরি সম্পন্ন। এই কার্ড সহযে কেউ নকল করতে পারবেনা, একটি স্মার্টকার্ডে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৫ হাজর টাকা খরচ পরবে বলেও জানান তিনি।
স্মার্টকার্ডের প্রাথমিক নমুনা অনুসারে সামনের অংশে নাম, বাবা-মায়ের নাম, জন্ম তারিখ ও পরিচিতি নম্বর থাকবে। অন্য অংশে থাকবে বারকোড। তবে বর্তমান কার্ডে স্বামীর নাম থাকলেও স্মার্টকার্ডে রাখা হবে না। এছাড়া এই কার্ডের ডিজাইনেও বেশ পরিবর্তন আসছে।
বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্মার্টকার্ডে ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে। তিনটি স্তরে এসব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রাখা হবে। এ কার্ডটি ১০ বছরের জন্য টেকসই করে তৈরি হচ্ছে। এরই মধ্যে স্মার্টকার্ডের জন্য ৯ কোটির বেশি মানুষের তথ্যভন্ডার বা ডাটাবে তৈরি করেছে ইসি।
জানা যায়, স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের লক্ষ্যে ফ্রান্সের অবার্থুর টেকনোলজিস নামে এক সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার চুক্তি করেছে ইসি। ইতোমধ্যে স্মার্টকার্ডের নমুনা চূড়ান্ত করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের দায়িত্বে থাকবে ফ্রান্সের ওই সংস্থার। আর সেটা ভোটারদের হাতে পৌঁছবে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে।বর্তমানে ৯ কোটি ৬২ লাখেরও বেশি নাগরিক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল