ডিসেম্বরে জাতীয় সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীতে যোগ হচ্ছে নতুন কিছু মুখ। বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও বেশ কয়েকজনের নাম আছে আলোচনায়।
বিবেচনায় থাকা নেতারা হলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, ঢাকামহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
উপদেষ্টা পরিষদ থেকেও কেউ কেউ সভাপতিমণ্ডলীতে আসতে চান। এরা হলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, মহীউদ্দীন খান আলমগীর অন্যতম। এরা সবাই কখনও না কখনও সভাপতিম-লীতে ছিলেন।
সভাপতিম-লীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, ‘দলের প্রতিটি সম্মেলনেই নতুন পুরনোর সমন্বয় হয়, এবারও সেটা হবে। তবে কারা নতুন ঢুকছেন আর কারা বাদ পড়ছেন সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না’।
দল থেকে বহিষ্কার এবং মৃত্যুর কারণে সভাপতিমণ্ডলীর দুটি পদ শূন্য হয়েছে এক বছরেও বেশি সময় আগে। আর ২০১২ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় সম্মেলনের পর থেকে খালি আছে একটি পদ। ফলে আওয়ামী লীগের ১৫ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীতে এখন আছেন ১২ নেতা।
২০১২ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় সম্মেলনের পর সভাপতিম-লীর দুটি পদ শূন্য ছিল। পরে একটি পদে নেয়া হয় বর্তমান গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। অন্য পদটি পূরণে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর সভাপতিম-লীর সদস্য জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যুর পর সেই পদটিও আর পূরণ করেনি আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর দল থেকে বহিষ্কার হন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এই পদটিরও এক বছরেও পূরণ হয়নি।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সম্মেলনের আগে এই পদগুলো পূরণ করার সম্ভাবনা নেই। দুই মাসের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়ার কোন মানে হয় না বলেই মনে করছেন নেতারা।
নেতারা বলছেন, আগামী সম্মেলনে শূন্য তিনটি পদ পূরণের পাশাপাশি দুই-একজন পদ হারাতে পারেন। গত সম্মেলনেও মহীউদ্দীন খান আলমহীর, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে নেয়া হয়।