স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, একটি বিশেষ মুহূর্তে প্রয়োজন মনে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব পেজ যারা চালায় তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। আমরা পর্যালোচনা করছি। পর্যালোচনা করে যদি মনে করি এটি চালু করে দেয়া দরকার তাহলে আমরা আবার পুনরায় এটি চালু করে দেব।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জঙ্গী অপতৎপরতা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে সংগঠিত হচ্ছে। ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকায়, ইংল্যান্ডে হয়েছে। কোথাও বাদ নেই। জঙ্গী তৎপরতা গ্লোবাল থ্রেড হয়ে গেছে। সে তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহীনি ভালো কাজ করছে। কাজেই এটা নিয়ে আতঙ্ক বা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করার কিছু নেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য জাহানারা বেগম সুরমা, ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার, পুলিশ সুপার রেজাউল হক পিপিএম, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বি.কম, জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজ আহম্মদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ, মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় আপিল বিভাগে বহালের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় দেশে ফেসবুক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় সরকার। সেটি এখনো খোলেনি। এরপর সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে গত ৩০ নভেম্বর ই-মেইল করেন ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। পরের দিন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রাজি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রীর ই-মেইলের জবাব দেয়।