কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, ‘আমি কাউকে ভয় পাই না। আমি ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ।’ আজ মঙ্গলবার ন্যাশনাল হেরাল্ডের মামলা নিয়ে ভারেতের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধীর। কিন্তু মঙ্গলবার বন্যা বিধ্বস্ত তামিলনাড়ুতে যাওয়ার কথা রাহুলের। অন্যদিকে, সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলায় সোনিয়া গান্ধীর পক্ষেও আদালতে এসে হাজিরা দেওয়া সম্ভব ছিল না। এসব কারণে মামলার শুনানির দিন পেছানোর জন্য কংগ্রেস থেকে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদন মেনেই শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর করেন আদালত। শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৯ ডিসেম্বর। ওই দিন সোনিয়া ও রাহুলকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা নিয়ে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষ। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে শুনানির দিন পিছিয়ে যেতেই সংসদে বিক্ষোভ শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদরা। সভা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ওয়ালে নেমে হৈচৈ শুরু করেন। বিজেপি সরকার ‘প্রতিশোধের রাজনীতি’ করছে বলেও সুর চড়ান কংগ্রেস সাংসদরা।
বিজেপির অভিযোগ, আদালতে হাজিরা এড়াতেই কংগ্রেস শুনানি পেছাল। এরই মধ্যে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে এই মামলায় সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে শমন জারি করা বিচারককে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার নতুন বিচারকের এজলাসে এই মামলা ওঠে। বিচারক সোনিয়া ও রাহুলের পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন ১৯ ডিসেম্বর।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ন্যাশানাল হেরাল্ডের বহু কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টার অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণম স্বামী।
ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলা নিয়ে মঙ্গলবার লোকসভা ও রাজ্যসভার উভয় কক্ষে কংগ্রেস সাংসদরা ঝড় তুললে কংগ্রেস সাংসদদের থামাতে মুখ খোলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। তিনি বলেন, এটা আদালতের ব্যাপার। তাই আদালতের নির্দেশকেই সম্মান জানানো উচিত আপনাদের। তবে নকভি এদিন কংগ্রেস সাংসদদের খোঁচা মেরে বলেন, বিরোধীদের ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।