কয়েন নিয়ে বিপাকে দেশের মানুষ

0

83851_166কয়েন বা ধাতব মুদ্রা লেনদেন করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের মানুষ। আর এর বিরুদ্ধে গতকাল রাজধানী ঢাকার কাছেই নরসিংদীর একদল ব্যবসায়ী স্থানীয় একটি বাজারে টেবিল পেতে বসে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবিসি।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ব্যাংকগুলো কয়েন নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, অথচ ব্যবসায়িক লেনদেনের ফলে তাদের হাতে জমছে বিপুল কয়েন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সঙ্কট নিরসনে সব ব্যাংককে কয়েন লেনদেন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নরসিংদীর বেকারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সরকার বলেন, কয়েক মাস ধরেই ব্যাংকগুলো কয়েন গ্রহণ না করায় সেখানকার শতাধিক বেকারি মালিকের কাছে জমে গেছে দুই কোটি টাকারও বেশি মূল্যমানের কয়েন। তিনি জানান, তাদের হাতে জমে থাকা এক টাকা, দুই টাকা ও পাঁচ টাকার কয়েন ব্যাংক না নেয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত দশটি ুদ্র বেকারি, এ নিয়ে কয়েকটি সমাবেশও হয়েছে সেখানে। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে তিন চার সপ্তাহ ধরে ঘুরছি। একবার বলে কয়েন গোনার মতো সময় ও লোক নেই। আবার বলে ভল্ট নেই।’

প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন সাতীরার ব্যবসায়ী এরশাদ আলী। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে কম দামে স্থানীয় বাজারে তিনি কয়েন বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন শুধু ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য। একই ধরনের অভিযোগ এসেছে মাগুরা, যশোর, খুলনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ অনেক জায়গা থেকেই।

আটটি কয়েন
বাংলাদেশে পয়সা ও টাকার আট ধরনের কয়েন থাকলেও এখন তুলনামূলকভাবে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে পাঁচ টাকার কয়েন। কিন্তু বৈধ হওয়া সত্ত্বেও কেন কয়েন গ্রহণে অনীহা দেখাচ্ছে ব্যাংকগুলো- এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা মো: ইসমাইল শেখ বলেন, এটি আসলে ব্যবস্থাপনার সমস্যা। তিনি বলেন, ‘কাগজের নোট হলে এর ব্যবস্থাপনা সহজ আর কয়েন অনেক বেশি হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। তবে নিয়মানুযায়ী কেউ কয়েন জমা দিতে এলে সেটি নিতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলছেন, সমস্যাটি জানতে পেরে সব ব্যাংক এবং তাদের প্রতিটি শাখাকে কয়েন লেনদেনের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিসকে বলেছি, তারা যেন লেনদেন ঠিকমতো করতে পারে।’
তবে তিনি বলেন, তাদের ধারণা গুজব সৃষ্টির কারণেই কয়েন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। বৈধ মুদ্রা বা কয়েন নিয়ে সংশয়ের কোনো ভিত্তি নেই। কারণ এগুলো সচল আছে এবং থাকবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More