জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরু হতে এখনো বাকি ৬ দিন। বাংলাদেশ দল একটু আগেভাগেই ঘাঁটি গাড়ল খুলনায়। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম অবশ্য এখনো জেগে ওঠেনি। চারদিকে কেমন সুনসান নীরবতা। মলিন, বিবর্ণ স্টেডিয়ামে রং লাগতে আরও দু-একদিন মনে হয় লাগবে।
আজ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠকর্মী, পুলিশ আর স্থানীয় কিছু সাংবাদিকেরাই মূলত মাশরাফি-সাকিবদের ‘দর্শক’। অবশ্য দর্শকদের ‘তুষ্ট’ করার জন্য নয়, বাংলাদেশ দলের জন্য ম্যাচ দুটি আক্ষরিক অর্থে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার। সেটা কতটা হলো, পরে জানা যাবে। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে এ মাঠে বাংলাদেশকে দারুণ কিছু করার প্রেরণা জোগাচ্ছে মূলত পরিসংখ্যান।
সাধারণত বাংলাদেশের ‘লাকি গ্রাউন্ড’ বলা হয় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামকে। কিন্তু পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ‘পয়া’ ভেন্যুর তালিকায় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামও ওপরের দিকেই রয়েছে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ এ মাঠে কখনো হারেনি।
খুলনায় খেলা চার ওয়ানডের চারটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও জয়। সেটি ছিল আবার ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। টেস্টে পরিসংখ্যানটা নেহাত মন্দ নয়। তিন টেস্টের একটিতে জয়, একটিতে হার। আর গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় ড্র তো আছেই।
খুলনা থেকে সৌম্য সরকারের বাড়ি বেশি দূরে নয়। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম এক অর্থে তাঁর ঘরের মাঠও। স্থানীয় সাংবাদিকেরা তাই সৌম্যের কাছে জানতে চাইলেন খুলনায় কি বাংলাদেশ পারবে সীমিত ওভারে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে? সৌম্যের সোজাসাপ্টা জবাব, ‘কেউ তো হারার জন্য নামে না। আশা করি জয় অব্যাহত থাকবে। বছরের প্রথম ম্যাচটা জয় দিয়েই শুরু করতে চাই।’
জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি সৌম্যের। মাঝে ‘এ’ দলের হয়ে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, সর্বশেষ বিপিএলটা প্রত্যাশামতো যায়নি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের পরিসংখ্যানটাই সৌম্যকে আশাবাদী করছে। গত বছর ১৫ ওয়ানডেতে ৫১.৬৯ গড়ে রান ৬৭২। তবে পেছনের পরিসংখ্যান নিয়েই পড়ে থাকতে চান না বাঁহাতি ওপেনার। বরং তাঁর প্রত্যয় সামনে আরও ভালো করার, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেওয়ার। তবে যেটা পেছনে রেখে এসেছি, সেটা তো ফিরে পাব না। সামনে যা আসছে, তাতে আরও ভালো করার চেষ্টা করব।’