বিএনপি বুঝতে পেরেছে, পেট্রলবোমার রাজনীতি তাদেরকে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ শনিবার সকালে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হাসান মাহমুদ বলেন, বিএনপি চায় দেশকে সব সময় অস্থিতিশীল করে রাখতে। দেশে সব সময় হানাহানি, গণ্ডগোল, পেট্রলবোমার রাজনীতি লেগে থাকবে এমনটাই আশা করে বিএনপি। দেশের মানুষের শান্তি বিএনপি নেতৃবৃন্দের পছন্দ নয়।
দেশে যে নীরবতা বিরাজমান তা স্বাভাবিক নয়- মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, দেশ অস্থিতিশীল থাকলে সে পরিস্থিতি বিএনপির কাছে স্বাভাবিক মনে হয়। তাই মির্জা ফখরুল সাহেব এমন বক্তব্য প্রদান করছেন। মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, দয়া করে সরকারের সমালোচনা করা বাদ দিয়ে নিজেদের সমালোচনা করুন। এতে বিএনপি উপকৃত হবে। তিনি বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখলাম অনেকেই লিখেছে ৫ জানুয়ারি ছিল বিএনপির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।
তাদের সাথে সহমত প্রকাশ করে আমি বলব, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে পরবর্তীতে নির্বাচন বানচাল করতে গিয়ে তারা যে অগ্নি-সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছিল তার ফলশ্রুতিতে তারা জনগণ দ্বারা প্রত্যাখিত হয়েছে। সংসদ, রাজপথ কোথাও বিএনপির স্থান নেই। বিএনপির নাজুক পরিস্থিতির জন্য বেগম খালেদা জিয়া দায়ী- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন খালেদা জিয়াকে তাদের দলের বোঝা মনে করছে।
মুক্তিযুদ্ধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাছান মাহমুদ আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে একজন পাকিস্তানি গুপ্তচর। না হয় তিনি দেশে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন অথচ তার স্ত্রী-সন্তানরা বহালতবিয়তে পাকিস্তানে সেনানিবাসে ছিল এটি কি কখনো সম্ভব? ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় জিয়াউর রহমানের অবস্থান এবং এর পরবর্তীতে উনার কর্মকাণ্ড এটাই প্রমাণ করে যে তিনি কখনোই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
শুক্রবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু। অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি,বলরাম পোদ্দার,মনোরঞ্জন শীল, এম এ করিম প্রমুখ।