আর কদিন পরেই দেশের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছেঅনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিজেদের শেষবারের মতো ঝালিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজঅনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে শুভ সূচনা করলো মিরাজরা।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা প্রমাণ করতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি বাংলাদেশ দলের বোলাররা। দলে অভিষেক হওয়া নতুন ৯ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে খেলতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল শুরুতে দেখে-শুনে খেলতে থাকলেও, সময় গড়ানোর সাথে-সাথে বাংলাদেশি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে।
ওয়েস্ট-ইন্ডিজের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে ওপেনার গিড্রোন পপের ব্যাট থেকে। দলীয় ৬৩ রানে তার উইকেট হারানোর সাথেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে শুরু করে ক্যরিবীয়নরা। ক্যরিবীয়নদীর পক্ষে এইদিন ৩ জন ব্যাটসম্যান ছাড়া আর কেউই দুই অংকের ঘরে প্রবেশ করতে পারেননি! ৩৭.৩ ওভারে ১১২ রানের সময় শাওনের ঘূর্ণি জাদুতে স্টুয়ার্ড ৩০ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে.৩৯.৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১১৪ রান যোগ করেই থামে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের ইনিংস। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে শাওন ৪টি, সঞ্জিত ও সাঈদ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
১১৪ রানের অল্প পুঁজি তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৮ রানে পিনাক ঘোষের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে জয়রাজকে সাথে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে থাকেন সাইফ হাসান। তবে দলীয় ৪৬ রানের সময় স্মিথের বলে ভালো খেলতে থাকা জয়রাজ ব্যক্তিগত ১৮ রান করে আউট হয়ে যান। সেখান থেকে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে শান্ত ও সাইফ ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। সাইফ হাসান ধীরগতিতে ৬৮ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইইংস খেললেও শান্ত ৬ চার ও ১ ছয়ের সাহায্য মাত্র ৩৬ বলে পরাজিত ৪১ রান করে মাঠ ছাড়েন।
ঘূর্ণি জাদু দিয়ে ২৪ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করে নিয়ে দলের জয়ে ভূমিকা রাখার জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের সালেহ আহ্মেদ শাওন। এই জয়ের ফলে ৩ ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশের যুবারা।