১৯টি বসন্ত পেরিয়ে গেলেও তাঁদের সেই মধুর স্মৃতি যেন মলিন হয়নি একটুও। আর তাই এবারের গোল্ডেন গ্লোবের আসরে লিওনার্দো ডি’ক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেটকে একসঙ্গে দেখে উপস্থিত সবাই যেন গাইতে চেয়েছেন ‘মাই হার্ট উইল গো অন’। পুরস্কার আসরের মঞ্চে যখন ঘোষণা দেওয়া হলো, ড্রামা ঘরানার ‘দ্য রেভন্যান্ট’ ছবির জন্য ডি’ক্যাপ্রিও পেয়েছেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার। পুরস্কার নিতে উঠে দাঁড়িয়েছেন ডি’ক্যাপ্রিও, সে সময় কেট উইন্সলেট উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে আলিঙ্গন করে প্রথম অভিনন্দন জানান। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আবেগী হয়ে অন্তরঙ্গ কিছু কথা বলেন দুজনে।
তাঁদের সেই মধুর মিলনের মুহূর্তটি তখন ভাসছে বিশ্বের অসংখ্য টিভি সেটের সামনে বসা দর্শকদের চোখের তারায়। আর এর পরপরই তাঁদের দুজনকে নিয়ে লেখা ও ছবিতে ভরে ওঠে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লিও-কেটের ভক্তদের পাঠানো অসংখ্য পোস্ট আর মন্তব্যে মনে হয়েছে, ‘টাইটানিক’ ছবির জ্যাক ও রোজের পুরোনো সেই সব স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছেন যেন সবাই। ভক্তদের কাছে সবকিছু ছাপিয়ে এবারের গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের আসরে কেট উইন্সলেট ও লিওনার্দো ডি’ক্যাপ্রিওর সেই আবেগী মুহূর্তটাই সেরা আর স্মরণীয় হয়ে উঠেছিল।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ দুজনের এক ভক্তের কথাতেই সবার মনের সুরটা ফুটে উঠেছে। ভক্তটি লিখেছেন, ‘কেট আর লিও জিতল, আমরা সবাই জিতলাম; দূরে-কাছে, যে যেখানেই থাকি।’ এই ‘টাইটানিক’ জুটি মন জয় করেছে সবার।
অবশ্য ডি’ক্যাপ্রিও যে শুধু একাই এই গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ঘরে তুলেছেন তা নয়, কেটের ঘরেও শোভা পাচ্ছে এবারের গোল্ডেন গ্লোবের সেরা ‘সাপোর্টিং অ্যাকট্রেস’-এর পুরস্কার সেই সোনালি মূর্তিটি। আর বিষয়টি যেন আগেভাগেই জানতেন লিও। এই পুরস্কারের আসরের রেড কার্পেটে তিনি বলেছেন, ‘কেট আমার সবচেয়ে পছন্দের অভিনেত্রী।’
এদিকে, সপ্তাহ খানেক আগেই মডেল কেলি রোরবাকের সঙ্গে ডি’ক্যাপ্রিওর বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। কে জানে, কেট তাঁকে বলতে চেয়েছিলেন, ‘মন খারাপ করো না!’