পারুল বাক্প্রতিবন্ধী। স্বামী কালাম সারা দিন কাজ শেষে বাসায় ফেরে। তার প্রতি ভালোবাসার অভিব্যক্তিগুলো কণ্ঠে কথার মালায় সাজাতে পারে না পারুল। আবার ’৬৯-এর উত্তাল দিনের মিছিল যখন বাসার পাশ দিয়ে যায়, জানালা দিয়ে পারুল তাকিয়ে তা দেখে। সেই মিছিলের সঙ্গে সে তার কণ্ঠ মেলাতে চায়।
পারুলের ইচ্ছা পূরণ হয় একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মিছিলের সময়। তার মুখ খুলে যায়। কথা বলতে শুরু করে পারুল।
আহমদ ছফার ওংকার উপন্যাসের পারুল হবেন অভিনেত্রী ভাবনা। উপন্যাসটির নামেই নির্মিত হবে নাটকটি। পারুল চরিত্রটিতে অভিনয়ের ব্যাপারে ভাবনা বলেন, ‘চরিত্রটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। বোবা মানুষের ভূমিকায় অভিনয় করাটা সহজ নয়। মুখের ভাষা ছাড়াই সব আকুতি ফুটিয়ে তুলতে হবে।’
উপন্যাসটি আগে পড়া ছিল কি না—জানতে চাইলে ভাবনা বলেন, ‘একবার পড়েছিলাম। কাজটির জন্য কথাবার্তা চূড়ান্ত হলে আরও একবার পড়েছি। চিত্রনাট্যটি হাতে পাওয়ার পর বেশ কয়েকবার পড়া হয়েছে।’
উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছেন শৌর্য দীপ্ত সূর্য আর যৌথভাবে পরিচালনা করছেন হাসান সিকদার ও শৌর্য দীপ্ত সূর্য।
শৌর্য দীপ্ত সূর্য জানিয়েছেন, আগামী একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য নাটকটি নির্মাণ করছেন তিনি। ভাষা দিবসের নাটকের জন্য এই উপন্যাসকে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উপন্যাসটির গল্প আর গল্পের পারুল এমন এক চরিত্র, যে চরিত্রটির কথা আমাদের প্রজন্মকে জানাতে হবে।’
শৌর্য দীপ্ত সূর্য জানান, আজ থেকে উত্তরার লোকেশনে নাটকটির শুটিং শুরু হচ্ছে। নাটকটিতে কালাম চরিত্রে অভিনয় করছেন ইন্তেখাব দিনার।
Prev Post
Next Post