সরকারি উদ্যোগে বিআরটিসির কিছু বাসে ওয়াই-ফাই সংযোগ চালু হয়েছিল আগেই। এবারে বেসরকারি উদ্যোগেও বাসে ওয়াই-ফাই রাউটার লাগাতে দেখা গেল। ১১ জানুয়ারি থেকে চিড়িয়াখানা থেকে কমলাপুরগামী ‘আয়াত পরিবহনের’ বাসে ওয়াই-ফাই সুবিধা চালু হয়েছে।
আয়াত পরিবহনের মালিকদের একজন চাতক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘১১ জন মালিক মিলে আয়াত পরিবহনের ৩০টি বাস চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সবগুলোতে ওয়াই-ফাই রয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে ২০টি বাস রাস্তায় চলাচল শুরু করেছে।’ওয়াই-ফাই সুবিধার বাস
আয়াত পরিবহনের বাসে গতকাল সোমবার থেকে চাতক নিজেই যাতায়াত করছেন। পর্যবেক্ষণ করছেন সেবার মান। বাস যাত্রীদের তিনি নিজেই পাসওয়ার্ড বলে দিচ্ছেন।
সরেজমিনে বেলা ১০টার দিকে দেখা গেছে, বাসে ওয়াই-ফাই জোন লেখা দেখে অধিকাংশ যাত্রী তাঁদের হাতে ফোন বের করে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে ঢোকার চেষ্টা করছেন। পাসওয়ার্ড জেনে নিতে হচ্ছে চালকের সহকারীর কাছ থেকে। বাসের চালকের ডান পাশে বাসের কাঠামোর সঙ্গে একটি ওয়াই-ফাই রাউটার সেট করা। এতে টেলিটকের সিম ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওয়াই-ফাই সুবিধা প্রসঙ্গে অফিসগামী বাসের এক যাত্রী বললেন, ‘জ্যামে বসে থাকার সময় ওয়াই-ফাই থাকায় বেশ ভালো লাগছে। অনলাইন খবরের সাইটগুলো, ফেসবুক ব্রাউজ করতে পারছি।’
সামনের সিটে বসা এক যাত্রী বলেন, ‘এই ওয়াই-ফাই কী কাজে লাগবে?’ বাসের চালক উত্তর দিলেন, ‘জ্যামে বসে আছেন, অফিসের অনেক দরকারি কাজ, মেইল এখানে বসেই তো সেরে নিতে পারবেন।’
পেছন দিকে বসা এক যাত্রী বললেন, ‘আমি নেটওয়ার্কে ঢুকতে পেরেছি। ভালোই তো ব্রাউজ করা যাচ্ছে।’
আয়াত পরিবহনের সেবা সম্পর্কে বাস মালিক বলেন, তাদের প্রতিটি গাড়ি ৪০ সিটের। উন্নত যাত্রীসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। লোকাল বাসের মতো অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হবে না। চিড়িয়াখানা থেকে কমলাপুরের ভাড়া হবে ৩০ টাকা। যাত্রীরা বিনা মূল্যে ওয়াই-ফাই সেবা পাবেন। আমরা এই ডিজিটাল সেবা চালিয়ে যেতে চাই।’
Prev Post
Next Post