মুম্বাই রেলওয়ে পুলিশের উদ্যোগে পথনিরাপত্তা নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। সেখানে তিনি জানান, কীভাবে অল্পের জন্য রেহাই পেয়েছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে। কৈশোরে খুব অল্পের জন্য বেঁচে গিয়ে তিনি আজকের শচীন টেন্ডুলকার হয়েছেন।
শচীন নিজেই জানালেন কীভাবে তার জীবনের ইনিংস শেষ হয়ে যেতে পারত অনেক আগে। শচীন বলেন, ১১ বছর বয়স থেকেই ট্রেনে যাতায়াত করি। স্কুলে পড়ার সময় ভিলে পার্লে গিয়েছিলাম এক বন্ধুর বাড়িতে। সকালে প্র্যাকটিসের পরে ছয় বন্ধু মিলে ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম দুপুরের খাবার খেতে। ঠিক করেছিলাম একটা সিনেমা দেখে বিকেলের প্র্যাকটিসে যাব।
এর পরেই ঘটলো সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। যেখানেই থেমে যেতো পারতো তার জীবন প্রদীপ।
শচীন বলেন, ‘সিনেমা দেখতে গিয়ে দেরি হয়ে গিয়েছিল। ঠিক করেছিলাম সবাই মিলে রেললাইন পেরিয়ে চলে যাব শর্টকাটে। লাইনে নামতেই দেখি সবক’টা লাইনেই একসঙ্গে ট্রেন আসছে। দুটো লাইনের মাঝখানে হাঁটু মুড়ে সবাই বসে পড়েছিলাম। কোনভাবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম তখন। তারপরে আর কোনও দিন রেললাইন পেরনোর সাহস দেখাইনি।’