বাংলাদেশের পাট রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। দেশটির সংসদেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পাট রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীভাবে তুলে নিতে রাজি করানোর জন্য তারা চেষ্টা করছেন। সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অধিবেশনে একজন সংসদ সদস্য মুনাজা হাসান প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের পাট রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের পাট কারখানাগুলো যে ক্ষতির মুখোমুখি হবে, সেটি সরকারের জানা আছে কিনা। আর সেটি জানা থাকলে, সেই সমস্যা মোকাবেলায় পাকিস্তানের সরকার কি পদক্ষেপ নিচ্ছে? পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খুররম দস্তগীর খান জবাবে সংসদে জানান, পাকিস্তানের পাট মিলগুলোর কাচা পাটের সবচেয়ে বেশি সরবরাহ আসে বাংলাদেশ থেকে। ফলে বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের এসব মিল কাঁচামাল সঙ্কটে পড়বে। এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়ে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছে বলে তিনি জানান। খুররম খানের দাবি, তাদের এই চেষ্টায় ৭ই জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞাটি সাময়িকভাবে শিথিল করা হয়। ফলে আগে যারা লেটার অব ক্রেডিট বা এলসি খুলেছেন, তারা সে অনুযায়ী পাট রফতানি করার সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, এর ফলে পাকিস্তানের পাট কারখানাগুলো কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। এখন এই নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীভাবে তুলে নেয়ার বিসয়ে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। দেশে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহারের বদলে পাট ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এক মাসের জন্য পাট রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিসেম্বর মাসে সেটি বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।