নাটোরের গুরুদাসপুরে বুধবার-বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের বৃষ্টিতে চাঁচকৈড়-সাহাপুর এলাকার ৯টি ইটভাটার শুকনা ও আধা শুকনা ইট গলে নষ্ট হয়ে ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইটভাটার মালিকরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা হতাশ হয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। শীত মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই ভেবে এবার ব্যাপক কাঁচা ইট তৈরী করে ভাটা মালিকরা। তাছাড়া বৃষ্টিপাতে তিনটি জ্বলন্ত ভাটার আগুন নিভে যাওয়ায় এসব ভাটা পুনরায় চালু করতে কমপক্ষে দশ দিনের মত সময় লাগবে বলে জানান শ্রমিকরা। লাভের আশায় দিন গুনতে না গুনতেই হঠাৎ বৃষ্টিপাতে তাদের সুখের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।
ভাটা মালিক হাজী দশরত আলী জানান, আমার মত যারা ব্যাংক লোন করে ইট তৈরী করেছে তাদের এখন মাথায় হাত। এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া ভাটা মালিকদের জন্য সম্ভব নয়। ভাটা মালিক জহুরুল সোনার জানান, প্রতিটি ভাটায় অন্তত ৫শ’ শ্রমিক ইট তৈরী কাজে ব্যস্ত থাকে। প্রতি মৌসুমে দুই বা তিন দফায় ইট তৈরী করা হয়। প্রতিটি ভাটায় বছরে গড়ে ৫০ লাখ ইট তৈরী হয়। কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কাঁচা ইট ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
ইটভাটা মালিক সমিতির সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে কমপক্ষে ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং এগুলো অপসারণ করে নতুন ইট তৈরী করা ও বন্ধ হয়ে যাওয়া ভাটাগুলো পুনরায় চালু করতে অনেক ভোগান্তী ও লোকসান গুনতে হবে।
Next Post