আমেরিকার ইতিহাসে স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ তুষার ঝড়ের পর পূর্বাঞ্চলের শহরগুলো ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবিত হতে শুরু করেছে। নিউইয়র্ক সিটিতে চলাচলের ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, ভয়াবহ তুষার ঝড়ের পর তা তুলে নেয়া হয়েছে। তবে অতীব জরুরী প্রয়োজন না হলে গাড়ী নিয়ে রাস্তায় বের না হতে সতর্ক করে দিয়েছে নিউইয়র্কের কর্তৃপক্ষ। ঝড়ে কয়েক ফুট পর্যন্ত জমে থাকা তুষার পরিষ্কার করতেই এখন ব্যস্ত নগরবাসী। আমেরিকা জনসংখ্যা বহুল নিউইয়র্কে এবারের তুষার ঝড়ে এতটাই বরফ জমেছে, যা ১৮৬৯ সালের পরে আর কখনোই দেখা যায়নি। তিন-চার ফুট বরফ খুঁড়ে নিজেদের গাড়ি, ঘর থকে বেরুনোর রাস্তা, মূল সড়কে ওঠার পথ বের করার কাজে এখন ব্যস্ত লাখ লাখ মার্কিন নাগরিক। তুষার সরাতে গিয়ে অনেক মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন, আবার অনেকের হাড় ভেঙে গেছে। ঝড়ে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে।
অনেক ক্ষেত্রে তুষার পরিষ্কার করতে প্রতিবেশীরা একে অপরকে সহায়তা করছেন। এই ঝড়ে পূর্ব উপকূলের ৫টি রাজ্যে কোথাও তিন ফুট আবার কোথাও তার চেয়েও বেশি তুষার জমেছে। ঝড়ে যে ২০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে অন্তত ৬ জনই নিহত হয়েছে বরফ সরানোর কাজ করতে গিয়ে। আর বাকি ১৪জন তুষার সংক্রান্ত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, নিউ জার্সিতে কার্বন মনো-অক্সাইড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক নারী ও তার এক বছর বয়সী শিশু। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলের জনজীবন সাময়িক স্থবির করে দিয়ে এই তুষার ঝড়টি এখন আটলান্টিকের দিকে যাচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা