অছাত্র আর বিতর্কিতদের প্রভাবমুক্ত করা যাচ্ছে না জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে। আর এ কারণে সিন্ডিকেটনির্ভর এ সংগঠনটিকে ঢেলে সাজানোর দীর্ঘদিনের পরিকল্পনাও থেকে যাচ্ছে অধরা। দিন, মাস, বছর আর যুগের পর যুগ ঘুরে এলেও ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের মূল্যায়িত করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তও বাস্তবায়ন করতে পারছে না হাইকমান্ড। এর ফলে ঝরে যাচ্ছে হাজারো উদীয়মান তরুণ ছাত্র নেতৃত্ব। তাই তারা আশাহত হয়ে অনাস্থা জানাচ্ছে পুরো রাজনীতিকেই। আর বিপরীতে দায়িত্বশীল নেতারা নতুন কমিটি গঠনের নামে চালু করেছে ভাগাভাগির পদ্ধতি।
ছাত্রদল সূত্র জানায়, সংগঠনের অচলাবস্থা থেকে বের করে আনার জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ছাত্র রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি থেকে বিভিন্ন হল কমিটি গঠন, ঢাকা মহানগর কমিটি, গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কমিটি গঠন। এর পাশাপাশি সারাদেশে শতভাগ মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোকেও পুনর্গঠন। এসব নিয়ে দায়িত্বশীল নেতারাও বিভিন্ন সময়ে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। এখন হবে, তখন হবে। কিন্তু কোনোকালেই হচ্ছে না বলে আশাহত হয়ে পড়ছে নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে এমন প্রচারণা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ওইদিন বলা হয়েছিল জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই এসব কমিটি ঘোষণা দেয়া হবে। কিন্তু তাও আর আলোর মুখ দেখেনি।
এসব বিষয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানও মানবকণ্ঠকে জানিয়েছিলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলো ঘোষণা করা হবে। তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তারা এসব কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নেতাকর্মীরা জানান, সংগঠনের অভিভাবক হিসেবে এতদিন যারা দায়িত্ব পালন করছেন মূলত তাদের মতবিরোধের কারণে এ সংগঠনটিকে এখনো নির্জীব অবস্থায় রাখা হয়েছে। এটা পুরো দলের জন্য একটি ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে বর্তমান কমিটির নেতৃত্বও সমানভাবে দায়ী। তাদের নেতৃত্বের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে। মেরুদণ্ডহীন নেতৃত্ব দায়িত্বভার নিলে যা হয় আমাদেরও তাই হয়েছে।
সূত্র জানায়, ছাত্রদল নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে পরিচিত সিন্ডিকেটরা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য সংগঠনে নিজেদের অনুগতদের পদ-পদবি নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারার পদ্ধতিও চালু করেছেন বলে জানা গেছে।
এর অংশ হিসেবে ঢাবির সভাপতি পদে আল মেহেদীকে পাচ্ছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রার্থী আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল। আর ঢাবির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবুল বাশারকে পাচ্ছেন সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ও সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক যুবদল প্রার্থী সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের মতো নিজেদের অবস্থান পাকা রাখতে আমানউল্লাহ আমান ও তার লোকেরা মরিয়া। সে হিসেবে ভোলার রফিককে দেয়া হচ্ছে সভাপতির পদে আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নোয়াখালীর ছেলে কাওছারকে নিচ্ছেন যুবদল প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
এদিকে যবুদল সাধারণ সম্পাদক নীরব আবারো স্বপদে বহাল থাকার জন্য শক্তি বৃদ্ধি করতে নতুন করে চার ভাগে বিভক্ত হতে যাওয়া উত্তর ও পশ্চিম এই দুই ইউনিটে নিজের লোক বসানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন।
অন্যদিকে দক্ষিণ ও পূর্ব ইউনিট ছাত্রদলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের জন্য মির্জা আব্বাস ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবীবকে আগেই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে পূর্ব ইউনিটে সদ্য প্রয়াত নাসির উদ্দিন পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনাকে কিছুটা ছাড় দেয়া হতে পারে।
ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান কারাগারে থাকার সুযোগে তার অনুসারীদের কমিটি থেকে সরিয়ে দেয়ায় এই প্রক্রিয়া যে কোনো মূল্যে রুখে দেয়ার জন্য মারমুখী অবস্থানে রয়েছেন তার অনুসারীরা।
সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের এরকম নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে সাধারণ নেতাকর্মীরা। এসব বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা উদাহরণ দিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা হিসেবেই পরিচিত কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এখন পর্যন্ত কোনো ইউনিট কমিটিতেও তার স্থান হয়নি। তাই তার পরিচয় একজন কর্মী হিসেবে। এই পরিচয়েই জেল খেটেছেন, ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, মামলার পর মামলা মাথায় নিয়ে নিজের শিক্ষাজীবনকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। আর ভিন্নদিকে ছাত্রদলকে ইজারা নিয়ে একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট কয়েক যুগ ধরে সংগঠনটিকে ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে এবার স্মরণকালের সর্ববৃহৎ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে ছাত্রদল। চার শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বিশিষ্ট প্রস্তাবিত এ কমিটির বহর নিয়ে কতটুকু সফলতা আসবে তা নিয়ে সন্দিহান সাবেক ছাত্রনেতারা। তাদের মতে, এরকম কমিটি নিজেদের ভারেই নুয়ে পড়বে। অন্যদের কিছু করতে হবে না।
তারা জানান, ১৫৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে আন্দোলনে সক্রিয় ছিল সর্বোচ্চ ২০/২২ জন। অথচ ২ বছর মেয়াদি রাজিব-আকরাম কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র ৫/৭ মাস পূর্বে ১৫৩ থেকে বাড়িয়ে ৪২০ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করার প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন দায়িত্বশীল নেতারা। এর জন্য তারা বিগত দিনের নেতৃত্বকে দায়ী করে বলেন, ওইসব তল্পিবাহকে নেতৃত্বের কারণে ছাত্রদলে দীর্ঘদিনের সেশনজটের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসুসহ সারাদেশের ছাত্র সংসদগুলো নিশ্চিহ্ন করার প্রথম প্রচেষ্টা করা হয়েছিল বিএনপির ঘাড়ে ভর দিয়েই। এর খেসারত হিসেবে এখন বিএনপিতে নিজস্ব কোনো নেতা তৈরি হচ্ছে না। নেতা ভাড়া করেই চলতে হচ্ছে পুরো দলকে।
ছাত্রদল সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত সাংগঠনিক বিভিন্ন ইউনিট কমিটিগুলোতে অছাত্রদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি এলাকাপ্রীতি তো আছেই। যোগ্যতা না থাকলেও শুধু নিজের বলয়ের আনুগত্য থাকলেই নেতা বানিয়ে দেয়া যায় এ সংগঠনে। এর মধ্যে এবার নোয়াখালী ও নরসিংদী জেলাকে প্রাধান্য দিয়ে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠনের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঢাকা মহানগরকে চার ভাগ করা নিয়েও সংগঠনের মধ্যে নানা সমালোচনা রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পছন্দের প্রার্থীকে গুরুত্বপূর্ণ পদে আনতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেদের মতো করে এলাকা ভাগ করেছেন। ছাত্রদলের সভাপতি কারাগারে থাকাবস্থায় মহানগর চার ভাগ ও কমিটি গঠন নিয়েও সংগঠনের ভেতরে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। রাজীব আহসান কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরপরই এসব কমিটি ঘোষণা করার কথা রয়েছে। তবে রাজীবের মুক্তি প্রক্রিয়া বিলম্ব হলে তাকে কারাগারে রেখেই কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সভাপতি হিসেবে আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল বাশার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সভাপতি পদে রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসিফ রহমান বিপ্লবের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আবুল বাশারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসাসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তরে সভাপতি পদে মিজানুর রহমান রাজ ও সাধারণ সম্পাদক পদে হোসেন রুবেলকে রাখা হয়েছে। অথচ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সিনিয়র সভাপতি সর্বাধিক পরিচিত আর নির্যাতিত নেতা শরফুদ্দিন জুয়েলকে বাদ দেয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ অনেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও। রাজপথ, মাসের পর মাস পুলিশী রিমান্ড আর কারাগারকে ঠিকানা করেও এই দলে জুয়েলের মতো নেতা নেতৃত্ব পায়না বলে ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আক্ষেপ করেন। আবার প্রস্তাবিত কমিটির মধ্যে সভাপতি হিসেবে রাজও রাজপথে সক্রিয় ছিলো। অপরদিকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় রুবেলের বিরুদ্ধে বাড্ডার চাইল্ডকেয়ার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের একজন শিক্ষিকাকে ধর্ষণের মামলা হয়। ওই মামলায় ২০০৫ সালে বাড্ডা থানায় (মামলা নং ৪৯) গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। ওই অভিযোগে রুবেলকে সে সময়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। ঢাকা মহানগর বিএনপির এক নেতার জোরালো সুপারিশে তাকে চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকা দক্ষিণে সভাপতি পদে জহির উদ্দিন তুহীন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গাফ্ফার চৌধুরীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। তুহীন সম্পর্কে তেমন অভিযোগ না থাকলেও গাফ্ফারের বিরুদ্ধে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে না থাকার অভিযোগ রয়েছে। গাফ্ফার বর্তমানে কামরাঙ্গীর চর থানা ছাত্রদলের সভাপতি।
ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি হিসেবে খন্দকার এনাম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কামাল হোসেন আর সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে মানিককে রাখা হয়েছে। ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, কামাল একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ভোল পাল্টে তিনি ছাত্রদলের রাজনীতিতে ঢুকে পড়েন। বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজনীতি ছেড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাকে পদ দেয়ার খবরে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাকে বাদ দিয়ে যোগ্য ও ত্যাগী কাউকে গুরুত্বপূর্ণ ওই পদ দেয়ার দাবি উঠেছে। এছাড়া ঢাকা মহানগর পশ্চিমে কামরুজ্জামান জুয়েলকে সভাপতি ও সাফায়েত রাব্বী আরাফাতকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে জুয়েলকে রাজপথে পাওয়া না গেলেও আরাফাতকে পাওয়া গেছে সর্বত্র বিগত দিনের আন্দোলন কর্মসূচিতে।
আবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে এমন অনেক ছাত্রনেতা দৌড়ঝাঁপ করছেন, যাদের অনেকেরই ছাত্রত্ব নেই।
দ্রুত সময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা হওয়ার খবর আসার পর থেকে যোগ্যদের পাশাপাশি অনেক অছাত্র, বিবাহিত, চল্লিশোর্ধ্ব ও বিতর্কিত নেতাও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জোর তদবিরে ব্যস্ত। এর ফলে যোগ্যরা মূল্যায়িত হবেন না বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব বিষয়ে ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক বায়েজিদ আরেফিন বলেছেন, কয়েকদিন আগে দলের একজন নীতি নির্ধারকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম গত আন্দোলনে যারা মাঠে ছিল তাদের কোনো তালিকা দলের কাছে আছে কিনা? উনি উত্তরে বললেন দলে এ ধরনের চর্চা নেই তুমি ভালো করেই জানো। নিজেরটা নিজেকেই আদায় করে নিতে হয়।
তিনি বলেন, এই আদায় জিনিসটার প্রসঙ্গ এলেই সেখানে যোগ্যতা নয়, মোসাহেবীকেই প্রাধান্যের বিষয় আসে। তাহলে আমাদের সংগঠন কোথায় যাচ্ছে এমন প্রশ্ন আমাদের।
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার মানবকণ্ঠকে বলেন, বিএনপিকে শক্তিশালী করতে ছাত্রদলকেও শক্তিশালী করতে হবে। এর জন্য দরকার দৃঢ় সংগঠনপ্রিয় মানসিকতা। দলের কর্ণধার চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিগত দিনে যারা সংগঠনের জন্য কাজ করেছে, আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থেকেছে, নির্যাতিত হয়েছে তাদেরই মূল্যায়ন করতে হবে। তা না হলে সাধারণ নেতাকর্মীরাই আমাদের বিরুদ্ধে চলে যাবে, যা সংগঠনের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।
Prev Post