শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি নৌরুটে দীর্ঘ ৪ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পুরো নৌরুট ঘন কুয়াশায় ফেরীসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে পরিস্তিতি স্বাভাবিক হলে সকাল ৯টার পর আবার ফেরী চলাচল শুরু হয়।
এদিকে ঘন কুয়াশায় নৌরুটে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় সকালে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীবাহী প্রাইভেট কার,মাইক্রো ও মালবাহী ট্রাকসহ প্রায় দেড় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে হয়। অন্যদিকে ঘন কুয়াশার মধ্যে ফুললোড অবস্থায় প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন ও বিপুল যাত্রীসহ মাঝনদীতে নোঙরে থাকে রো রো ফেরী আমানত শাহ ,শাহ পরাণ,কাকলী,লেংটিং,টাপলো,কুসুমকলিসহ মোট ৭টি ফেরী। এ সময় শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীসহ ফুললোড অবস্থায় বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, রায়পুরা ,রানীক্ষেতসহ ৩টি ফেরী অবস্থান করছিল।একই অবস্থায় কাওড়াকান্দি ঘাটের পন্টুনে ফেরী শাহ আলী ,যমুনা, রামশ্রী,ক্যামেলিয়াসহ ৪টি ফেরী পন্টুনে ভেড়ানো থাকে।এ সময় ফেরীঘাটে ও মাঝনদীতে আটকে পড়া ফেরীযাত্রীরা প্রচন্ড শীতের মধ্যে চরম দুর্ভোগে পড়েন।একপর্যায়ে কুয়াশা কেটে গেলে সকাল ৯টায় পুনরায় নৌরুটে ফেরী চলাচল শুরু হয়।
বিআইডব্লি¬উটিসির ম্যানেজার(বাণিজ্য) গিয়াসউদ্দিন আহমেদ জানান,মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে পদ্মা অববাহিকায় ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে। পরে তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকলে একপর্যায়ে নৌরুটের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ঘন কুয়াশায় বেষ্টিত থাকায় ফেরী চালকেরা সকাল ৯টা পর্যন্ত নৌরুটের ১ফুট অদূরেও দিক -মার্কা ও সিগন্যাল বীকন বাতি নির্ণয় করতে পারছিল না।তাই দুর্ঘটনা এড়াতে বাধ্য হয়ে ফেরী চালকেরা নৌরুটে ফেরী চলাচল বন্ধ রাখে।
Prev Post
Next Post