জুলফিকার হায়দার ওরফে হাঁটা বাবা মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টায় নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন হায়দার বাবা। মৃত্যুকালে তাঁর বাবার বয়স হয়েছিলো ৯৫ বছর। মারা যাওয়ার পর মরদেহ রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রাখা হয়েছে। এখানে হাজারো ভক্ত সারিবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে রেখে গেছেন। বড় ছেলে মোহাম্মদ লাডলা হায়দার, শাহেজাদা হায়দার ও আনোয়ার হায়দার। এশার নামাজের পর মোহাম্মদপুর কবরস্থানে বাবার দাফন।
লাডলা হায়দার বলেন, আমার ইচ্ছা ছিলো বাবার কবরটা যেন একটু আলাদাভাবে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, বাবা ৬ মাস আগে হার্ট অ্যাটাক করেন। চিকিৎসকরা উনাকে (বাবা) রেস্টে থাকতে বলছিলেন। কিন্তু তিনি তো হাঁটা ছাড়া থাকতে পারেননি।
স্বাধীনতার পর হায়দার বাবা কাঁটাবন মসজিদের পাশে আশ্রয় নেন। এরপর কিছুদিন মিরপুরে থেকে মোহাম্মদপুরে তাজমহল রোডে একটি বাড়ির নিচতলায় আস্তানা গাড়েন।
বেশ কিছুদিন আগে এক ভক্ত নূরজাহান রোডে পৌনে তিন কাঠা জমিতে তাকে একটি বাড়ি কিনে দেন। তাজমহল রোড ও নূরজাহান রোডে দুটি আস্তানাতেই প্রতি বছর ওরসের আয়োজন করা হয়। হায়দার বাবা ওরফে হাঁটাবাবার কাহিনি হুমায়ূন আহমেদও তার একটা উপন্যাসে লিখেছিলেন।