গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শীতার্ত, অসহায়, দুঃস্থ্য ও গরীব মানুষের মাঝে বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ একেএম ফজলুল হক মিলন শীতবস্ত্র বিতরণকালে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের বাধায় অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোমবাজার এলাকায় এ পুলিশি বাধার সম্মুখিন হন। পরে একই দিনে দুপুরে ওই ইউনিয়নের বর্তুল গ্রামে তার নিজ বাড়ীতে অনুষ্ঠানের বাকী অংশ সমাপ্ত করেন।
জানা যায়, উপজেলা তুমলিয়া ইউনিয়নে সোমবাজার এলাকার মালেক সুপার মার্কেটের সামনে মঙ্গলবার সকালে অসহায়, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করে। খবর পেয়ে পুলিশ অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান করেন। এতে এক পর্যায়ে অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়।
পরে দুপুরে ফজলুল হক মিলনের নিজ বাড়ী বর্তুলে অনুষ্ঠানের বাকী অংশ শেষ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খালেকুজ্জামান বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ মৃধা, কালীগঞ্জ থানা যুবদল সভাপতি মো. মাসুদ রানা, তুমলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ শাখার ছাত্রদল সভাপতি জাকির হোসেনসহ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কালীগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে শীতার্থ মানুষের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ফজলুল হক মিলন বলেন, মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে বাধা দিয়ে অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন থানা পুলিশ। মাইক, মিছিল, ব্যানার কিছুই নাই, এটা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। তাহলে কি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো বিএনপির কোন অধিকার নেই?
Prev Post
Next Post