নারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ম্যাচিওরড পুরুষ পছন্দ করেন। বলিউডে রয়েছে তার অনেক উদাহরণ। সুন্দরী, সেক্সি অনেক বলিউড নায়িকারা তাঁদের প্রিন্স চার্মিংকে খুঁজে পেয়েছেন এমন কোনও পুরুষের মধ্যে যাঁরা আগেই বিবাহিত।
কারিনা কাপুর খান
বিয়ের দু’বছর পর সইফ আলি খান ও অমৃতা সিং বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। তারপর রোজ়া ক্যাটাল্যানো নামে এক মডেলের প্রেমে পড়েছিলেন সাইফ। কিন্তু “টাশন”-এর সেটে কারিনার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। পাঁচ বছর পর বিয়ে করেন সইফ-করিনা।
বিদ্যা বালান
সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের তৃতীয় স্ত্রী বিদ্যা বালান। প্রথমে সিদ্ধার্থ বিয়ে করেছিলেন আরতি বাজাজকে। তারপর টেলিভিশন প্রোডিউসার কবিতাকে বিয়ে করেন তিনি। তাঁকে ডিভোর্স করার পর বিদ্যার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।
শিল্পা শেট্টি
শিল্পা শেট্টি তাঁর প্রিন্স চার্মিংকে খুঁজে পেয়েছিলেন রাজ কুন্দ্রার মধ্যে। শিল্পার আগে যিনি রাজের স্ত্রী ছিলেন তাঁর নাম ছিল কবিতা। শিল্পাকে বিয়ে করার জন্য তিনি কবিতাকে ডিভোর্স দেন বলে শোনা যায়।
লারা দত্ত
একটি টেনিস ইভেন্টে মহেশ ভুপতির সঙ্গে পরিচয় লারা দত্তর। লারার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে মডেল সবিতা জয়শঙ্করকে বিয়ে করেছিলেন মহেশ ভুপতি। তবে এঁদের পরিচয়ের অনেক আগেই মহেশ-সবিতার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল।
কল্কি কোচলিন
“দেব ডি” দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন কল্কি কোচলিন। তারপরই অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। “পাঁচ” রিলিজ় না করায় অ্যালকোহলিক হয়ে পড়েছিলেন অনুরাগ। সেই কারণেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয় তাঁর। তারপরই তিনি বিয়ে করেন কল্কিকে।
শ্রীদেবী
প্রথম স্ত্রী মোনা শোরে কাপুরকে ডিভোর্স দেওয়ার পর প্রযোজক বনি কাপুর বিয়ে করেন শ্রীদেবীকে। তবে ডিভোর্সের পরও ১০ বছর মোনা বনি কাপুরের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। ছেলেমেয়েরা যাতে পরিবারের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠে, তাই মোনা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
হেমা মালিনী
ধর্মেন্দ্র প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল প্রকাশ কউর। হেমার প্রেমে যখন ধর্মেন্দ্র পড়েন তখন তিনি বিবাহিত পুরুষ। কিন্তু প্রেম তো জেনে বুঝে আসে না। কিন্তু প্রকাশ, ধর্মেন্দ্রকে ডিভোর্স দিতে অস্বীকার করেন। তা সত্ত্বেও ধর্মেন্দ্র বিয়ে করেন হেমা মালিনীকে।
মধুবালা
প্রথমে কিশোরকুমার বিয়ে করেছিলেন রুমা গুহঠাকুরতাকে। তারপর তিনি মধুবালাকে বিয়ে করেন। তবে কিশোরকুমার কিন্তু তাঁর প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার পরই মধুবালার পাণিগ্রহণ করেন।
সারিকা
বিবাহিত কমল হাসানের প্রেমে পড়েছিলেন সারিকা। কমল হাসানও অবশ্য পড়েছিলেন। সারিকাকে বিয়ের জন্য বাণী গণপথেকে ডিভোর্স দেন কমল। ১০ বছরের সম্পর্ক ভেঙেছিলেন তিনি।