পৃথিবীর আয়ু আছে আর চার সপ্তাহেরও কম! কারণ, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে দানবীয় এক গ্রহাণু। ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্বে’র বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েড ‘ডেইলি স্টার’ ও ‘মিরর’ এই তথ্য জানিয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচিত হচ্ছে। তবে পৃথিবী ধংসের বিষয়টি ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিশ্বাসীদের মতে, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা দানবীয় গ্রহাণুটি আগামী ২১ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরে আঘাত হানবে। পুয়ের্তো রিকোর এফরেইন রডরিগেজ নামের এক স্বঘোষিত ‘সৃষ্টিকর্তার বার্তাবাহক’ এমন তত্ত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে, গ্রহাণুর আঘাতের ফলে পৃথিবীর মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।
এফরেইন রডরিগেজের দাবি, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুর বিষয়ে সৃষ্টিকর্তা তাঁকে জানিয়েছেন। শিগগিরই এটি নাসার কাছে ধরা পড়বে। তখন বিশ্বের গবেষকদের কাছে বিষয়টি দৃশ্যমান হবে। এরই মধ্যে রডরিগেজ নিজ উদ্যোগে নাসাকে বিষয়টি জানিয়েছে।
রডরিগেজের দাবিকে ভ্রান্ত বলে উড়িয়ে দিয়েছে নাসা। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসার কোনো আশঙ্কা নেই বলেই দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি।
নাসার পৃথিবীর নিকটবর্তী বস্তু নিয়ে গবেষণাবিষয়ক কর্মকর্তা পল চডাস বলেন, পৃথিবীর দিকে কোনো গ্রহাণু ধেসে আসছে এমন কোনো প্রমাণ তাঁরা পাননি। এমন কোনো গ্রহাণু নেই যা আগামী ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে।
পল চডাস ডেইলি স্টারকে বলেন, রডরিগাসের তত্ত্বের কোনো ভিত্তি নেই। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীতে গ্রহাণুর আঘাতের কোনো আশঙ্কা নেই। আর আগামী কয়েকশ বছরের মধ্যে বড় কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানছে না। তিনি আরো জানান, নাসার কর্মকাণ্ডের অন্যতম একটি হলো গ্রহাণু শনাক্ত করা এবং পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে এমন কোনো গ্রহাণুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।