বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এবং খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, খাদ্যমন্ত্রী গত ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে এক সম্মেলনে এবং নৌ-পরিবহন গত ২২ জানুয়ারি রাজধানীতে বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ও ছাত্রদেরকে লক্ষ্য করে চরম উস্কানীমূলক অযৌক্তিক বক্তব্য রেখেছেন। তাদের বক্তব্যে জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে, তারা এ দেশ থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা তথা ইসলামী শিক্ষা ধ্বংস করে সমাজ ও দেশ থেকে ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় চেতনাবোধকে মুছে দিতে চাচ্ছেন। দীর্ঘ দিন থেকে তারা দুই জনসহ আরো কয়েকজন মন্ত্রী থেমে থেমে ক্বওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বিরোধী বক্তব্য দিয়ে উলামা-মাশায়েখ, মাদ্রাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতার অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে যাচ্ছেন। হেফাজত আমীর বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই উলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে যে, সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাসের ধারা বিলোপ, রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি এবং ধর্মহীন শিক্ষানীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মূলতঃ সরকার এদেশে নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী, খাদ্য মন্ত্রী ও পরিবেশ মন্ত্রীর স্ত্রীসহ আরো কয়েক মন্ত্রীর ধারাবাহিক ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আদর্শ বিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরকারের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় এমন আশংকা আরো জোরালো হয়েছে। মন্ত্রীসভা থেকে দুই মন্ত্রীকে অপসারণ করে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় হাজির করানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে হেফাজত আমির বলেন, অবিলম্বে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে কঠোর আইন পাশ করে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের লাগামের রাশ টেনে ধরুন।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা ইসলামী চেতনাবোধ মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নাস্তিক্যবাদিদের সহযোগী হয়ে কাজ করছে না। বিবৃতিতে হেফাজত আমির দেশের আলেম সমাজ, মসজিদের ইমাম-খতীবসহ সকল ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, আল্লাহ-রাসূলের অবমাননা, মাদ্রাসা শিক্ষা, উলামা-মাশায়েখ এবং ইসলামী আদর্শ ও চেতনা বিরোধী বক্তব্য, বিবৃতিদাতাসহ সকল নাস্তিক্যবাদি, মুরতাদ ও তাদের সহযোগীদেরকে সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বয়কট শুরু করুন। তাদের পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে কেউ শরীক হবেন না। কোনো আলেম তাদের বিয়ে পড়াবেন না। তাদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে কেউ আবদ্ধ হবেন না। কোনো আর্থিক লেন-দেন, ব্যবসায়িক সম্পর্ক করবেন না। তারা মারা গেলে তাদের জানাযায় কোনো আলেম ও সাধারণ মুসলমান শরীক হবেন না। এটা ঈমানের ন্যূনতম চাহিদা। ধর্ম অবমাননাবিরোধী কঠোর আইন পাশসহ নাস্তিক্যবাদ ও ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে হেফাজতের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের উলামায়ে কেরাম, মসজিদের খতিব ও ইমামদের প্রতি আহ্বান জানান হেফাজত আমির।