স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মিলন একাই ৪০০ জাল ভোট দিয়েছেন। নির্ধারিত সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এক ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় উপজেলার রাজগুরু প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বড় লাইন থাকলেও কেউই বুথে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। সাংবাদিক পরিচয়ে বুথের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মিলন একাই ব্যালটে সিল মেরে যাচ্ছেন। তখন পর্যন্ত তিনি ৪টি ব্যালট বই শেষ করে ফেলেছেন। জাল ভোট দেয়ার ছবি তুলতে গিয়ে এক সাংবাদিককে লাঞ্চিতও করেন মিলন। এ সময় তার ক্যামেরা ছিনতাইয়েরও চেষ্টা চালানো হয়। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহায়তায় রক্ষা পান। এই ঘটনার পর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার খোরশেদ আলম সাময়িকভাবে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৯টার মধ্যে এ কেন্দ্রে ৩ হাজার ৫০০ ভোটের মধ্যে ১৫০০ কাস্ট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা রাকায়েত হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই উপজেলার আলতাফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই চিত্র দেখা গেছে। এ কেন্দ্রেও বিএনপির কোন এজেন্টকে পাওয়া যায়নি। প্রিজাইডিং অফিসারের দাবি, সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ৩০০ ভোট কাস্ট হয়েছে। তবে কেন্দ্রে তেমন কোন ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি। তবে, বাইরে বিএনপি ভোটাররা দাবি করছেন, আগের রাতেই ব্যালটে সিল মারা হয়ে গেছে।