বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপার স্পেশালাইজড করাসহ ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ৮৫৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২ হাজার ২০৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, ভুমিকম্পের ভয়াবহতার দিকটি বিবেচনায় নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভবন রক্ষার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সরকারি অনেক ভবন জরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো রেট্রোফিটিং এর মাধ্যমে ভূমিকম্পসহনীয় করে গড়ে তোলা যায়, যা পুন:নির্মাণ করলে নতুন করে নির্মাণের চেয়ে ব্যয় অনেক কম। এই বিবেচনায় সরকারি জনগুরুত্বপূর্ন ভবনের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনগুলোকে এ প্রকল্পের আওতায় রেট্রোফিটিং করার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় রাজধানী ও এর আশেপাশে যেসব ফায়ার স্টেশন রেট্রোফিটিং করা হবে সেগুলো হচ্ছে- খিলগাঁও ফায়ার স্টেশন, মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তর, তেজগাঁও ফায়ার স্টেশন, ডেমরা ফায়ার স্টেশন, কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন, লালবাগ স্টেশন, সাভার ফায়ার স্টেশন, বারিধারা ফায়ার স্টেশন, ধামরাই ফায়ার স্টেশন স্টেশন এবং কেরানীগঞ্জ ফায়ার স্টেশন। অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
প্রকল্পের আওকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেতরে দুটি বেইজমেন্টসহ একটি ১৩তলা হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হবে। সেই সাথে হাসপাতালের জন্য আধুনিক মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র সংগ্রহ করা হবে। বৈঠকে টাঙ্গাইলে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালকে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।