মঞ্চে উঠলেন একটি গাঢ় নীল রঙা স্যুট পরে। হাতে বেশ কয়েকটি মোটা বই। কথা শুরু করলেন দর্শকদের ‘নমস্তে’ জানিয়ে। মজার ছলে বললেন, যার হাতে বই নেই তাকে কখনো বিশ্বাস করবেন না। এরপরই তার প্রয়াত বাবা তথা খ্যাতনামা কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের স্মৃতিতে ডুব দিলেন। অমিতাভ বলেন, শেষের দিনগুলোতে বাবা যেভাবে তার সবচেয়ে পছন্দের বইগুলোর থেকেও আরো বেশি করে হিন্দি সিনেমা দেখে সময় কাটাতে শুরু করেছিলেন, তা তাকেও ধন্ধে ফেলে দিত।
হিন্দি সিনেমার শতবর্ষ চলছে। অমিতাভ দাবি করেন, হিন্দি সিনেমা হলিউডের থেকেও বেশি পুরনো। দর্শকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ৭১ বছরের প্রবীণ অভিনেতা বলেন, এবার তিনি বাবা হরিবংশ রাই বচ্চনের আত্মজীবনীনির্ভর চরিত্রে অভিনয় করতে চান। ঘটনাচক্রে অমিতাভ রাষ্ট্রসংঘের দূত। এদিন মঞ্চে অমিতাভ বারবার উল্লেখ করলেন ভারতীয় সমাজের একটা বড় অংশে মহিলাদের ওপর বঞ্চনার প্রসঙ্গ। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতো বিভিন্ন জায়গায় স্বাক্ষরতার হারে মহিলাদের পিছিয়ে থাকার পরিসংখ্যান।
পাশাপাশি পণের কারণে বধূহত্যা, ডাইনি অপবাদে হত্যা, ধর্ষণ, দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করা ও অ্যাসিড হামলার মতো মহিলাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় অমিতাভকে। তিনি বলেন, মেয়েদের জন্য একটি স্কুল তৈরির চেষ্টা নতুন করে করতে চান। বিগ বি-র কথায়, ভারতের সবচেয়ে বড় ‘ফ্যাশন’ হলো চলচ্চিত্র। এটি এমন একটি শিল্প যেখানে সব ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির সহাবস্থান। তার দাবি, ভারতীয় দর্শককে সিনেমার মতো মন্ত্রমুগ্ধ করতে আজ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক নেতাও পারেননি। ভারতীয় সিনেমার হাতে কোনো পরমাণু বোমা নেই, কিন্তু কোনোদিন আর্থিক মন্দার মুখে পড়তে হয়নি।