পীরগঞ্জে ষড়যন্ত্র করে অধ্যক্ষকে জাল টাকা ও ইয়াবাসহ ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছে একই প্রতিষ্ঠানের দু’শিক্ষক। সোমবার দু’শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতারের পর অধ্যক্ষকে ছেড়ে দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়নের বাঁশপুকুরিয়া ভোকেশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় শিক্ষকের বিরোধ চলছে। বিরোধের সুযোগে অধ্যক্ষের ব্যবহৃত বাজাজ ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলের সিটের নিচে গত ২৪ জানুয়ারি ১৯টি এক হাজার মূল্যমানের জাল টাকা এবং ২টি ইয়াবা ট্যাবলেট কৌশলে রেখে দেয়া হয়।
এক পর্যায়ে ৩১ জানুয়ারি ওই অধ্যক্ষের মোটরসাইকেলে উল্লেখিত জিনিস রয়েছে বলে মোবাইল ফোনে ওসিকে জানানো হয়। ওইদিনই বিকেল ৪টায় কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পীরগঞ্জ মেরিন একাডেমির সামনে থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে আটক করে। এরপর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ৪ শিক্ষককে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গভীররাত পর্যন্ত ক্লু উদ্ধার হয়নি।
সোমবার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খালাশপীরহাটের এক মোটরসাইকেল মেকারকে তুলে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত তথ্য উদঘাটিত হয়। ওই তথ্যের ভিত্তিতেই উল্লেখিত স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক শাহিনুর রহমান ও মিনু মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মোটরসাইকেল মেকার রাঙ্গা মিয়াকে আদালতে পাঠানোর জন্য পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। অপরদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম রসুল রানাকে জিম্মানামায় স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
উল্লেখিত বিষয়ে গতকাল বিকেলে ওসি রেজাউল করিম উপস্থিত সাংবাদিক ও জনতার উদ্দেশ্যে প্রেস ব্রিফিং করেন।
Next Post