গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত ও মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অপরাধে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত জাহিদ খন্দকার (১৬) ও মুরাদ মন্ডল (১৬) নামে দুই যুবককে চার মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ণ্ড দিয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার মঙ্গলবার বিকেলে ওই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। কারাদণ্ড প্রাপ্ত জাহিদ খন্দকার বনগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজীবাড়ি সন্তোলা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ও মুরাদ মন্ডল ওই গ্রামের পলাশ মন্ডলের ছেলে। জাহিদ খন্দকার চলতি এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে সাদুল্যাপুর বহুমূখি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। মুরাদ তার বন্ধু।
সাদুল্যাপুর থানা পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জাহিদ ও মুরাদ কিশামত শেরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী লাকী খাতুনকে উত্যক্ত করে আসছিল। সোমবার বিকেলে লাকীকে একা পেয়ে তার বাড়ির সামনে মোবাইল ফোনে ছবি তোলে জাহিদ ও মুরাদ। মঙ্গলবার সকালে লাকী বাড়ি থেকে তার বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে জাহিদ ও মুরাদ পুনরায় তাকে পথরোধ করে উত্যক্ত করতে করতে বিদ্যালয়ের গেট পর্যন্ত যায়। এসময় লাকী বিষয়টি তার স্কুলের শিক্ষকদের জানালে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জাহিদ ও মুরাদকে আটক করা হয়।
খবর পেয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন তালুকদার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম মাহাবুবুল আলম কিশামত শেরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই যুবকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের প্রত্যেকের চার মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
Prev Post