তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য হালনাগাদ নেই। তাদের তথ্যে গড়মিল রয়েছে। এ কারণে অনেক সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিরূসাহিত হচ্ছে। তাই পারস্পারিক সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য সরবরাহ করা দরকার। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ভবনে বুধবার আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
পলক বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেড় কোটি। কিন্তু আমাদের হিসাব মতে তা সাড়ে পাঁচ কোটি হয়। এ ক্ষেত্রে আমি যখন বিদেশিদের বলতে যাই তখন তারা বিবিএস এর তথ্য উল্লেখ করে বলে মাত্র দেড় কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দেশে আর কী বিনিয়োগ করব। তাছাড়া বিবিএস এর তথ্যে প্রতিবছর আইসিটি খাতে ২ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু আমরাতো প্রতিবছর ৫০ হাজার ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।
বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দেশের মোট জনগোষ্ঠির ৫০ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে শতভাগ কভারেজ করা। কেননা এখনই ৪০ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তাহলে আগামী ৫ বছরে কি মাত্র ১০ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়বে? তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক আব্দুল ওয়াজেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক কবীর উদ্দীন আহমেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবদুল ওয়াজেদ বলেন, বিবিএস এর ভুল ক্রটি নিয়ে আলোচনা করা দরকার। তবে আমরা যেটা করি সেটা হচ্ছে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে আগে কী অবস্থা ছিল এখন কী আছে তা তুলে ধরা। যেমন জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে, এ প্রবৃদ্ধি বিবিএস করেনি। অফিসিয়াল ডাটার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। গ্রোথ করে সরকার আর আমরা তার হিসাব রাখি।