নারীরা পুরুষের খেলার পুতুল

0

image_27796_0নারী শব্দের অর্থ বহুভাবে ব্যবহৃত হয় আমাদের সমাজে । একজন নারী কারো মা, মেয়ে, বোন  আবার কারো সহধর্মিণী । কিন্তু সমাজের রীতিনীতিতে নারীরা কি আদৌ সেই সম্মানটুকু  পাচ্ছে ? প্রায় শত বছর ধরে মার্চ মাসের ৮ তারিখ বিশ্ব নারী দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। এক কথা ঠিক যে, নারীর স্থান ও ক্ষমতা দিন দিন উন্নত হচ্ছে। তবে কেবল একটি বিশেষ দিবসে গৃহীত সকল কার্যক্রমদ্বারা নারী স্বার্থ রক্ষা ও বাস্তবায়ন করা তা আদৌ সম্ভব নয়, প্রয়োজন নানান বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে । এই এক বিংশ শতাব্দীতে এসে ও নারীরা লাঞ্ছিত হচ্ছে । কেউ হচ্ছে মানসিক নির্যাতিত আবার কেউ হচ্ছে শারীরিক ভাবে । যখন মেয়েদের বিয়ে হয়ে স্বামীর ঘরে তখন প্রতিটি নারীর পায়ে শাসনের নূপুর  পরিয়ে দেওয়া হয় । এই নূপুর ইচ্ছে থাকলেও সহজে কোন মেয়ে খুলে চলতে পারে না । কারণ তার কোন স্বাধীনতা নেই । সে যদি আবার স্বাধীনতা চায় তাহলে সমাজের কাছে একজন কুলাটা মেয়ে হিসেবে পরিচিত হবে ।

বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই নারী অধিকারের কথা শুনে আসছি । কখনও ইসলামে নারী অধিকার আবার কখনও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য কিংবা অন্য ধর্মের সাথে নারী বিষয়ক তুলনামূলক আলোচনা শুনেছি পড়েছি । আর আমাদের বুঝে আসে না জৈবিক চাহিদার নিশ্চিত করে কি ভাবে নারী স্বাধীনতা বা নারী উন্নয়ন সম্ভব ? তাহলে কি নারীরা এ পৃথিবীতে শুধুই ভোগ্য পণ্য ? প্রকৃত পক্ষে নারী উন্নয়নের জন্য নারীর ঘরে বাইরে চলাফেরার নিরাপত্তা বিধান । পরিবার ও সমাজে তার অবস্থান সুস্পষ্ট ও সুদূর করা । তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রদান প্রভৃতি যা নারীকে পুরুষের মতো একজন বোধশক্তি সম্পন্ন মানুষ অথবা মানবজাতির অর্ন্তগত সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ । কিন্তু লিঙ্গ সমতার নামে নারিকে ভোগপণ্য এবং পুরুষে পরিণত করার মধ্যে কখনই নারী উন্নয়ন হতে পারে না । নারিকে মানুষ হিসাবে ভাবতে হবে , তবে সেই সাথে এইটাও শিখতে হবে যে অবাধ যৌনতার পণ্য হওয়া থেকে নারী  যেন নিজেদের রক্ষা করে । শুধু স্বাধীন মতামত আর স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই জীবনের সব কিছু সমাধান হয়ে যাবে না ,  সমাধান হয় না ।

কোন মেয়ে যখন শ্বশুর বাড়ীতে নিজেকে খাপ খায়িয়ে চলতে না পারে ,তখন মেয়েটি খারাপ হয়ে যায় ওই পরিবারের কাছে ,  কেউ কি কখনো কোন দিন চিন্তা করেছে , মেয়েটি একটা নতুন পরিবেশে আসছে ? প্রতিটি নারী মনের সকল সুখ আহ্লদ বির্সজন দিয়ে একটা হাতে বানানো পুতুল হবে । যখন নাচতে বলবে তখন নাচবে ,যখন চলতে বলবে তখন চলবে । এটা আমাদের গতানুগতিক নিয়ম । এখনও আমাদের সমাজে ৪২ ভাগ নারী স্বামীর হাতে প্রতিদিন নির্যাতিত ,সেই সব নারী গুলো মুখবুজে সহ্য করছে কারণ আমরা এখনও পুরুষ শাসিত সমাজে বসবাস করছি । আজও কত নারী সবাইর অজান্তে শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছছে । আসলে আজও অবধি  নারীরা পুরুষের খেলার পুতুল ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More