আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সরকারে প্রতি দাবি জানিয়েছেন, মিরপুরে দগ্ধ হয়ে চা দোকানির মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত বিচার আইনের আওতায় নিয়ে ১ মাসের মধ্যে দায়ী পুলিশের বিচার নিশ্চিত করা হোক।
রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শুক্রবার দুপুরে চলমান রাজনীতি বিষয়ক বঙ্গবন্ধু একাডেমির আয়োজনে এক আলোচনাসভায় তিনি এ দাবি জানান।
সুরঞ্জিত বলেন, তেলের আগুনে চা দোকানির মৃত্যু একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মানুষ যার ওপর সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে সেই পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। সেখানে তদন্তের কী আছে? অবিলম্বে এই মামলাটিকে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় নিয়ে ১ মাসের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুন। ফৌজদারি আইনে ৩০২ ধারায় এফআরআই দায়ের করে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি হয়েছে। বেসিক ব্যাংক লুট হয়েছে। এই ডাকাতি বা লুটের সঙ্গে কারা জড়িত, এটা কি মানুষ জানে না? এসব ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকের কর্মচারীদের নামও উঠে এসেছে। সোনালী ব্যাংক ডাকাতি আর বেসিক ব্যাংক লুট হয়ে থাকলে এর দায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিতে হবে। কারণ জণগনের টাকা আত্মসাতের দায় কেউ এড়াতে পারবে না।
সংগঠনের সহসভাপতি চিত্তরঞ্জন ঘোষের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আওযামী লীগ উপ-কমিটির সহ সম্পাদক ইস্কান্দর মির্জা শামীম, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বুধবার মিরপুর ১ নম্বর গুদারাঘাটে চাঁদা না পেয়ে পুলিশ চা বিক্রেতা বাবুলের চায়ের দোকানের কেরোসিনের চুলায় বাড়ি মারলে কেরোসিন ছিটকে তার গায়ে আগুন ধরে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুল মাতব্বর মৃত্যুবরণ করেন।
Prev Post
Next Post