উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে জাতিসংঘের এক প্যানেলের দেয়া রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অ্যাসাঞ্জ। রিপোর্টে তাকে ব্রিটেন এবং সুইডেন কার্যত বেআইনিভাবে আটকে রেখেছে বলে মত দিয়েছে জাতিসংঘের ঐ প্যানেল। একইসঙ্গে তার মুক্তি ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার পক্ষে মত তাদের। তবে তাদের এই রিপোর্টকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড।
যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার অ্যাসাঞ্জ গত ৪ বছর ধরে লন্ডনে ইকুয়েডোরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন। সুইডেনে তার বিরুদ্ধে আনা তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার এড়াতে ২০১২ সাল থেকে তিনি সেখানে অবস্থান নেন। তার বিরুদ্ধে আনীত এই অভিযোগ তিনি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন।
জাতিসংঘের রিপোর্ট বিষয়ে অ্যাসাঞ্জ জানান, ব্রিটেন ও সুইডেন তাকে ‘বিনা বিচারে আটক’ রেখেছে বলে জাতিসংঘ যে মন্তব্য করেছে তা তার জন্য বিরাট এক বিজয়।
ইকুয়েডোর দূতাবাস থেকে এক ভিডিওবার্তায় তিনি তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন তিনি এ রিপোর্টে খুশি এবং বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্তি চান।
তবে এই রিপোর্টকে হাস্যকর উল্লেখ করে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলেন প্যানেলের এই রিপোর্ট কিছুই বদলাবে না। প্যানেলের অভিমতকে ‘উদ্ভট’ আখ্যা দিয়ে হ্যামন্ড আরো বলেন, অ্যাসাঞ্জ আইনকে ফাঁকি দিতে লুকিয়ে আছেন এবং তিনি দূতাবাসের বাইরে এলেই তাকে গ্রেফতার করে সুইডেনের হাতে তুলে দেয়া হবে।