বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলের মাধ্যমে দলটি দেশের মানুষের মধ্যে নতুন উদ্যোম ও আশাবাদ তৈরি করবে বলে দাবি করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিএনপিকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রতীক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার দল বিএনপি। আগামী দিনের গণতন্ত্রের নিরাপত্তা, রাষ্ট্র ও স্বার্বভৌমত্বে নিরাপত্তা-এসব কিছুকেই সামনে রেখে এ কাউন্সিল মানুষের কাছে নতুন উদ্যোগ ও আশাবাদের কাউন্সিল হবে।’
শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিবআইপি লাউঞ্জে ‘গণতন্ত্র বিকাশে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আয়োজন করে ‘শহীদ জিয়ার ১৯ দফা বাস্তবায়ন পরিষদ’নামের একটি সংগঠন।
জনগণ গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে উন্নয়নের কথা বলে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘এখন গণতন্ত্রের আগে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে। গণতন্ত্র দুমড়ে-মুচড়ে উন্নয়ন হয়না। উন্নয়ন হয়েছে আওয়ামী লীগের, ছাত্রলীগের, যুবলীগের।’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন ছোয়া তৃনমুলে পৌছে দিতে হলে গণতন্ত্র অপরিহার্য। ঢাকায় লোক দেখানো কয়েখটি ফ্লাইওভার আর যেখানে সেখানে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে উন্নয়ণ দেখালেই উন্নয়ন হয়না। অথচ গ্রামে-শিল্প কারাখানায় আজ বিদ্যুৎ নেই। কারখানাগুলো কর্মী ছাটাই করছে। সব জায়গায় দখলের চিত্র।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলে। তারা মিথ্যা, বিভ্রান্তি ও স্বার্বভৌমত্বের বিপক্ষে। কিন্তু বিএনপি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের কথা বলে। এই হলো পার্থক্য।
বর্তমান সরকারের আমলে গণমাধ্যম মুক্তভাবে কথা বলতে পারছে না দাবি করে রিজভী বলেন, ‘এই সরকার গণমাধ্যম বন্ধ করে দিচ্ছে। এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। তারা সত্য কথা বলতে পারেনা। তাদের ওপর ধারালো তলোয়ার ঘুরছে। এটিই হলো আওয়ামী লীগের বাকশাল। আর জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আজকে যে এতো গণমাধ্যম তা জিয়াউর রহমানের অবদান।’
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, নির্বাহী কমিটির সদস্য মনির খান, প্রাক্তন সাংসদ মাসুদ অরুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চলনা করেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কে এম খালেকুজ্জামান জুয়েল।
Prev Post