কুর্মিটোলা গলফ কোর্সটি সব সময়ই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি থাকে। এশিয়ান ট্যুর বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেন সামনে রেখে যেন এর সৌন্দর্য ঠিকরে পড়ছে। পরিচ্ছন্নকর্মী, বল বয়, কেডিদের দৌড়ঝাঁপ সর্বত্র। আগামী ১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেন টুর্নামেন্ট। অংশ নেবেন দেশ-বিদেশের ১৩২ গলফার।
টুর্নামেন্ট সামনে রেখে এখনো প্রতিযোগীরা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাননি। দু’চারজন এসেছেন মাত্র। অনেকেই মিয়ানমারের চলা এশিয়ান ট্যুরে খেলছেন। আগামী দু’একদিনের মধ্যে চলে আসবেন বাকিরাও। যে কয়েকজন এসেছেন কাল তারা কোর্সে না নামলেও, ইনডোরে টি শট অনুশীলন করেছেন। সেই প্রতিযোগীদেরই একজন গলফ কোর্সের সৌন্দর্যে এতটাই বিমোহিত, অস্ফুট স্বরে বলেই ফেললেন ‘হে ঈশ্বর, তুমি দারুণ সুন্দর একটা জায়গায় আমাকে এনেছ।’
বিদেশি গলফাররা না এলেও দেশি তারকারা বসে নেই। গতবার এই টুর্নামেন্টে বাজে পারফর্ম ছিল ঘরের ছেলেদের। এবার তাই বেশিই সিরিয়াস সজীব আলী, জামাল হোসেন মোল্লারা। বাঙ্কারের বল নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে অনুশীলন করছিলেন জামাল। মনে হচ্ছে গতবার এই অংশটি বেশ ভুগিয়েছে তাকে। দু’তিন কেডি চারপাশ ঘিরে আছে জামালের। মনোযোগ দিয়ে তারা জামালের শটগুলো অবলোকন করছেন। একটু দূরে সজীব আলী হাত চার-পাঁচেক ব্যবধান দূর থেকে বল ফেলছিলেন গর্তে। সজীবের অনুশীলন দেখতে দু’তিন বিদেশি গলফার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিন জাতীয় দলের অ্যামেচার গলফারদের কোর্সের আশপাশে দেখা গেলেও কাল তারা একটু আগেভাগেই অনুশীলন করে চলে যান। বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেনে এবার স্বাগতিক দেশ হতে ২৫ জন পেশাদার গলফারের সঙ্গে থাকছেন পাঁচজন জাতীয় অ্যামেচার গলফারও।
Prev Post
Next Post