স্বর্ণ চোরাচালানে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে রয়েছে এমিরেটস, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনা প্রায় প্রতিদিনের। বিশ্বের প্রথম সারির উড়োজাহান পরিবহন সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে এবার স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ৩ ডিসেম্বর দুবাই থেকে আসা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পাওয়া ৩৬ কেজি ২৮০ গ্রাম স্বর্ণ আটকের ঘটনায় তদন্ত হয়। এই তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। ইতিমধ্যে গত ৩১ জানুয়ারি এমিরেটস এয়ারলাইন্সকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে উড়োজাহাজের সব যাত্রী নেমে যাওয়ার পর তল্লাশি চালিয়ে স্বর্ণবারগুলো উদ্ধার করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে স্বর্ণ বহনকারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণেই সন্দেহের তালিকায় এয়ারলাইন্সের নাম সরাসরি উঠে এসেছে।
এ দিকে গত ৭ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চালিয়ে উড়োজাহাজ থেকে ১৮ কেজি ৬৬০ গ্রাম স্বর্ণ আটক করে বিমানবন্দরের শুল্ক ও কাস্টমস গোয়েন্দা দল। স্বর্ণ চোরালানের এই ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে গত ৩১ জানুয়ারি মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে উড়োজাহাজের সব যাত্রী নেমে যাওয়ার পর তল্লাশি চালিয়ে স্বর্ণবারগুলো উদ্ধার করা হয়। গত ২২ জানুয়ারি রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ থেকে উদ্ধার করা হয় আড়াই কেজি স্বর্ণ। ব্যাংকক থেকে আসা ফ্লাইটের টয়লেট থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এর আগে ১৯ জানুয়ারি একই এয়ারলাইন্সের টয়লেট থেকে উদ্ধার করা হয় ১১ কেজি ৬৫০ গ্রাম স্বর্ণ। গত বছরের ৬ নভেম্বর মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় আসা রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ না করে অন্যত্র অবতরণ করে। এ সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উড়োজাহাজে অভিযান চালায়। অভিযানে কমোডের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪টি প্যাকেট। এসব প্যাকেটে প্রচুর পরিমাণ স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যে কারণে ঘটনা তদন্ত শেষে ঢাকা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ গত ২১ ডিসেম্বর রিজেন্ট এয়ারওয়েজকে চিঠি দিয়েছে। যে চিঠিতে উল্লেখ করা হয় স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
Prev Post