মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীপুর গ্রামের তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর এক ব্যক্তি ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শুক্রবার সকালে ওই শিশুটিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় নির্যাতিতকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন জানায়, এনায়েতনগর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের কৃষক প্রতিবেশী ইউনুস সরদার দুইবার বিয়ে করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সে বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে মুখ চেপে ধরে একটি সরিষা ক্ষেতে নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
পরে পরিবারের লোকজন সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসে। মেয়েটির বাবা চার বছর আগে মারা গেছেন। মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসার পর তার মা ও মামাসহ এলাকার লোকজন ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন।
নির্যাতিত শিশুর মা জানান, ধর্ষণের পর কাউকে বললে তার মেয়েকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। এই ভয়ে প্রথমে তার মেয়ে কিছু বলতে না চাইলেও পরে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘটনার বিস্তারিত তাকে জানান।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. খন্দকার মাইনুল হাসান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা মেয়েটির ধর্ষিত হওয়ার আলামত পেয়েছি। তবে মেয়েটির প্রচুর ব্লিডিং হওয়ার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কালকিনি থানার ওসি কৃপাসিন্দু বালা বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই সাদা পোষাকে এলাকায় অভিযুক্ত ধর্ষককে পাঠিয়েছি। আমরা অভিযুক্ত ইউনুস সরদারকে আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা করছি।’