পোশাকখাতে সুশাসনের পরিপূর্ণ নিশ্চয়তা চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।বাংলাদেশ থেকে ইরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ক্রেতাদের নিরবিচ্ছিন্ন পোশাক কেনা ধরে রাখতে হলে সুশাসনের বিকল্প নেই।
শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সঙ্গে বৈঠক শেষে ইইউ পার্লামেন্ট সদস্য জিন ল্যামবার্ট সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বৈঠকের পর বিজিএমইএ ভবনে যৌথ সংবাদ সম্মেলন হয়।
ল্যামবার্ট বলেন, সুশাসনের ক্ষেত্রে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, শ্রমিক অধিকার, শ্রমিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ সময় তিনি রানা প্লাজার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা এখন আর হচ্ছে না এটি ভালো।
আমরা শ্রমিকদের অধিকার, তাদের কর্ম পরিবেশসহ অন্যান্য বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাতে মনে হয়েছে এ খাতে বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক উল্লেখ করে ল্যামবার্ট বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশেষ অঞ্চল হল ইইউ। এ ইউনিয়নভুক্ত ক্রেতারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ক্রয় কার্যক্রম চালিয়ে যাবে, তবে নিরাপদ কর্ম পরিবেশের সঙ্গে সুশাসনের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সকল খাতে মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। রপ্তানি প্রক্রিয়া অঞ্চলে ইউএন ব্যবসায়ীক নীতিমালা অনুযায়ী, শ্রম আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইইউ’র উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান কার্যক্রম, ভবন নিরাপত্তা, অগ্নি নিরাপত্তা, শ্রমিক নিরাপত্তা এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে সন্তষ্ট বলে জানিয়েছে।
ল্যামবার্ট পোশাকের মূল্য পুনর্নির্ধারনের বিষয়ে বলেন, এ বিষয়ে বিজিএমইর সঙ্গে কথা হয়েছে। পরবর্তীতে আলোচনা হবে।বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বৈঠক অনেক সফল হয়েছে। তারা আমাদের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। তারা জানতে চেয়েছে এসব কার্যক্রমে তাদের সহায়তার প্রয়োজন আছে কি না। আসরা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছি, প্রয়োজন আছে। কারণ, শ্রমিক ও তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য এবং কর্ম দক্ষতা বাড়াতে অনেক কার্যক্রম চালাচ্ছি। এসব খাতে তাদের সহায়তা চেয়েছি। তিনি বলেন, পোশাকের মূল্য পুনর্নির্ধারনের বিষয়ে তাদেরকে প্রস্তাব করেছি।
তারা জানিয়েছেন, তাদের ক্রেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলচনা করবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন মন্তব্য করেননি।
অ্যাকর্ডের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তারা আমাদের নিকট জানতে চেয়েছে, অ্যাকর্ডের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না। আমরা বলেছি, তাদের মেয়াদ শেষ হতে এখনও অনেক দেরী। সে পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাত নিয়ে, সরকার ও ব্যবসায়ীদের যে উদ্যোগ এবং ক্রেতাদের যে চাহিদা তা সমাধান হয়ে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে ইইউ প্রতিনিধি ও বিজিএমইএ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।