নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার শাখা যমুনা নদীটি এখন আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। এক সময় শাখা যমুনা নদী দিয়ে খরস্রোত বইতো। বর্তমানে বছরের অধিকাংশ সময় শুকনো আর ধুধু বালুচরে পরিনত হয়ে থাকে। ছোট যমুনা নদীতে এখন সারা বছর হচ্ছে চাষাবাদ।
নদীটিতে পানি না থাকার কারনে ভূ-গর্ভ থেকে পানি উত্তলন করতে হচ্ছে। হারিয়েগেছে স্থানীয় জেলেদের জীবন-যাত্রা, দেখা দিয়েছে দেশী মাছের অভাব। এক সময় এই শাখা যমুনা নদীটি ছিলো মানুষের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম। এই নদীর পানি দিয়ে কৃষরা তাদের চাষাবাদ করতো আর মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো হাজার হাজার জেলে পরিবার। আর এই নদীর মাছ দিয়ে স্থানীয় জেলেরা অত্র এলাকার দেশী মাছের চাহিদা পূরণ করতো।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়, ৩ শত কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই নদীটি দিনাজপুর জেলার দক্ষিনে অবস্থিত নীলফামারী জেলার আত্রাই ও করতোয়া নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে জেলার পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলা দিয়ে নওগাঁ সদর উপজেলা হয়ে যমুনা নদীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এনদীটির নাম ছোট শাখা যমুনা রাখা হয়েছিলো।
স্থানীয় কয়েকজন জেলের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ছোট যমুনা নদীতে এখন পানি না থাকায় অনাহারে দিনজাপন করতে হচ্ছে এখানকার জেলেদের। অত্র অঞ্চলে হারিয়ে যাচেছ দেশী প্রজাতির মাছ যার কারনে সাধারন মানুষের দেহে সঠিক ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছেনা। অন্যদিকে নদীতে পানি না থাকায় ভূ-গর্ভের পানির স্তুর নেমে যাচ্ছে। কৃষকরা জমিতে আবাদ করতে পানির সংকটের মুখে পড়ছে। স্থানীয় কৃষকরা উক্ত নদীতে একটি রাবার ড্যাম স্থাপন করে পানি আটকে রেখে আবাদ করার সহযোগীতা করতে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছে ।