বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রেমের কারণে মরতে হলো দরিদ্র পরিবারের স্কুলছাত্রী মুক্তা বাড়ৈকে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল গ্রামের দরিদ্র বুদ্ধি বাড়ৈর মেয়ে পাপড়ী বাড়ৈর সাথে আগৈলঝাড়া উপজেলার রামান্দেরআঁক গ্রামের সুনিল বিশ্বাসের বড় ছেলে খোকনের বিয়ে হয়। পাপড়ী বাড়ৈর বিয়ের পর তার স্কুল পড়ুয়া বোন মুক্তা বাড়ৈর সাথে পরিচয় হয় দেবর অরুণ বিশ্বাসের। পরিচয়ের সূত্র ধরে বেয়াই ও বেয়াইনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
দুই পরিবারের কেউই এই প্রেম মেনে নিতে পারেনি। তাই মুক্ত ও অরুণ পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরে অরুণ বিশ্বাসের পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়ার আশ্বাসের পরে তারা বাড়িতে আসেন। বাড়ি আসার পর থেকে মুক্তা বাড়ৈর উপর স্বামী অরুণসহ তার পরিবার লোকজন নির্যাতন চালাত। প্রায়ই তাকে মারধর করত। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতেও অরুণসহ তার পরিবারের লোকজনের সাথে ঝগড়া-ঝাটির একপর্যায়ে মুক্তা বাড়ৈকে মারধর করা হয়। এই কারণে অভিমান করে মুক্তা বিষপান করে আত্মহত্যা করে।
মুক্তার পিতা বুদ্ধি বাড়ৈ বলেন, আমার মেয়ে যদি প্রেম করে বিয়ে না করত তাহলে তাকে মরতে হতো না।
Prev Post