প্রায় দেড়যুগ পর ঘরের মাঠে আবারো ইনিংস ব্যবধানে হারের স্বাদ পেলো নিউজিল্যান্ড। আর তাদের সেই লজ্জায় ডোবালো স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে তারা নিজেদের মাঠে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল ইংল্যান্ডের কাছে। ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ইনিংস ও ৫২ রানের হারে সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে পড়লো ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল।
প্রথম ইনিংসে ৩৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে সোমবার টেস্টের ৪র্থ দিন ৩২৭ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। নিজের বিদায়ী সিরিজের প্রথম টেস্টের উভয় ইনিংসেই চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন ম্যাককালাম। নিজের ১০০তম টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ০ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন মাত্র ১০ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের হয়ে টম লাথাম ৬৩, হেনরি নিকোলস ৫৯ ও টিম সাউদি করেন ৪৮ রান। এছাড়া মার্টিন গাপটিলের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান ও মার্ক ক্রেইগ অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে ভয়ঙ্কর ছিলেন নাথান লায়ন। তার শিকার ৪ উইকেট। মিচেল মার্শ নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া জস হ্যাজেলউড এবং জ্যাকসন বার্ড নেন ১টি করে উইকেট।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৭৮ রান নিয়ে সোমবার ব্যাটিংয়ে নামেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান কোরি অ্যান্ডারসন ও হেনরি নিকোলস। দিনের শুরুতেই মিচেল মার্শের বলে কোনো রান না করেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন অ্যান্ডারসন। দলের রান তখন ১৮৫। এরপর সাময়িক প্রতিরোধের চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত ৩২৭ রানে শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস। যাতে বড় অবদান রাখে ক্রেইগ ও সাউদির নবম উইকেটে খেলা ৫৯ রানের জুটি।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। জবাবে অ্যাডাম ভোজেসের দ্বিশতক ও উসমান খাজার শতকের উপর ভর করে ৫৬২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
২৩৯ রানের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন অ্যাডাম ভোজেস। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্রাইস্টচার্চে শুরু হবে। এই ম্যাচটি খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
Prev Post
Next Post