খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিন বলেন, দেশনেত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করে আজ সরকার পানি ঘোলা করতে চাইছে। আর সেই ঘোলা পানিতে তারা মাছ শিকার করতে চাইছে। মঙ্গলবার রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার পুরো পরিবার সে সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন। অথচ আজ তার বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলার অর্থই হলো- এখানে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। আর তা হলো, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া।
দেশের মানুষ অচিরেই সংগঠিত হয়ে সব চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেবে মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যিনি বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করেছেন, তাকে এতো সহজে দূরে সরিয়ে দেয়া যায় না।
ফখরুল বলেন, আজ কেউ কথা বলতে পারে না। সম্পাদক তার পত্রিকায় সুচিন্তিত মত তুলে ধরতে পারেন না। কেউ কথা বললে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা, নাশকতার মামলা, ষড়যন্ত্রের মামলা ও মানহানির মামলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীতে একটি আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, আজকে বলা হয় এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে।
এ বক্তব্যের পর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত ২৫ জানুয়ারি আদালত খালেদার বিরুদ্ধে সমন জারি করে।
Prev Post
Next Post