ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের একটি দৃশ্য আপনার চোখ এড়িয়ে যেতে পারেই না- ভাঙলেই জ্বলে উঠছে বেল-স্ট্যাম্প! দেখেছেন না? আপনি কি জানেন ওই স্ট্যাম্প বানাতে কতো টাকা খরচ করতে হয়েছে আইসিসির? আপনার জানার কথা নয়। তাহলে জেনে রাখুন, ওই স্ট্যাম্পের সাথে থাকা একটি বেলের যতো টাকা দাম, তা দিয়ে আপনি নতুন একটি আইফোন ফাইভ কিনে ফেলতে পারবেন!
বিস্ময়কর হলেও সত্য- প্রতিটি ম্যাচের স্ট্যাম্পে আইসিসির খরচ হচ্ছে ৪০ হাজার ডলার বা প্রায় ৩১ লাখ ১২ হাজার টাকা! এর মধ্যে একেকটি বেলের জন্য খরচ প্রায় ৮৫০ ডলার। আর অ্যাপল কোম্পানির একেকটি আইফোন ফাইভ-এর দাম ৮৪৯ ডলার!
প্রতি বিশ্বকাপেই কোনো না কোনো নতুন প্রযুক্তি বা ভাবনার আমদানি হয়। এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত আমদানি মনে হয় এই ‘এলইডি স্ট্যাম্প’-ই।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-২০ লিগ বিগব্যাশে স্ট্যাম্পে আলো জ্বলতে দেখা গেলেও এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দেখা যাচ্ছে এই আধুনিক প্রযুক্তির স্ট্যাম্প। অস্ট্রেলিয়ার ‘জিংস’ সংস্থার কাছ থেকে এই হাইটেক স্ট্যাম্প কিনেছে আইসিসি।
ম্যাচ শেষে ক্রিকেটাররা যদি মনে করেন, স্ট্যাম্প তুলে নিয়ে তাঁরা চলে যাবেন, তাহলে তারা ভুল ভাবছেন। কারণ স্ট্যাম্পগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করা আইসিসির পক্ষে বলা যায় অসম্ভব।
জিংসের আবিষ্কর্তা ব্রন্টে একারম্যানই জানিয়েছেন একথা। মজা করে তিনি আরো বলেন, “যদি কোনো ক্রিকেটার একটা বেল পকেটে ঢুকিয়ে চম্পট দেন। আমি নিজেই তাকে ধাওয়া করব!”
একারম্যান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি খেলায় মাঠে ৪০ হাজার ডলারের প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। একেকটি বেলের দাম একটি আইফোনের সমান।’
স্ট্যাম্পের মধ্যে আলো জ্বলার বিষয়টা নাকি প্রথম তার মাথায় আসে তার মেয়ের একটা খেলার বল দেখে। “আমার মেয়ে একটা বল নিয়ে খেলছিল, যেটা ছুঁড়লেই আলো জ্বলে উঠছিল। এটাই ছিল আমার কাছে ‘ইউরেকা মোমেন্ট’। ক্রিকেটের স্ট্যাম্পে আলো জ্বলানোর প্রযুক্তির চিন্তাভাবনা মেয়ের ওই বলটাকে দেখেই প্রথম মাথায় আসে আমার।”
আপনার কি স্ট্যাম্প বা একটি বেল ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে? মনে হয় না তা সম্ভব হবে! আপাতত জ্বলতে দেখেই সন্তুষ্ট হতে হবে।