দীর্ঘ ৬৮ বছরের বিপর্যস্ত নিজ ভূমে পরবাসী জীবনের ঘানি টানার পর লালমনিরহাট জেলার অভ্যন্তরে থাকা সদ্য বিলুপ্ত ৪০ (জনবসতিপূর্ণ) ছিটমহলে হাজারো মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রথমবারের মতো ‘মহান ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস পালন করছে। এসব বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে পাটগ্রাম উপজেলার ৫৫টির মধ্যে জনবসতিপূর্ণ ৩৬টিতে, হাতীবান্ধা উপজেলার ২টিতে ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার ২টিতে মহান ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছে বসবাসকারী নারী-পুরুষ ও শিশুরা।
জেলার সদর উপজেলা, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার অভ্যন্তরে থাকা সদ্য বিলুপ্ত জনবসতিপূর্ণ ৪০টি ভারতীয় ছিটমহলে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় মধ্যদিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো মহান ভাষা শহীদ ও আর্ন্তজাতিক মার্তৃভাষা দিবসটি পালন করছেন। পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলার বিলুপ্ত ৩৮ ছিটমহলের লোকজন স্থানীয় পার্শ্ববর্তী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে দিবসটি প্রথমবারের মতো পালন করছেন। তবে লালমনিরহাট সদর উপজেলার অভ্যন্তরে থাকা সদ্য বিলুপ্ত দুই ছিটমহলে মানুষ ভিতরকুটি (বাঁশপচাই) ছিটমহলে প্রস্তাবিত সালেহা সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নবনির্মিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছেন। সেখানে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মোহাম্মদ আলী আকবার আজিজী, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রাত ১২টার কিছুক্ষণ আগে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের সাথে মিলিত হয়ে নবনির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
পরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মোহাম্মদ আলী আকবার আজিজী, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, বিলুপ্ত ভিতরকুটি (বাঁশপচাই) ছিটমহলের নয়া বাংলাদেশি প্রবীণ নাগরিক রমজান আলী প্রমুখ।
Next Post