মহান ভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু সেখানেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে দলটির নেতাকর্মীরা। শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে দলটির নেতা-কর্মীরা জড়িয়ে পড়ে হাতাহাতি, মারধরে। দলের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে জুতা হাতে নিয়ে ছোড়াছুড়ি করতেও। এমনকি নিয়ম ভেঙেছেন খালেদাও।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বিএনপির সিনিয়র নেতারা শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসেন শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ বেশ কয়েকজন তাদেরকে এগিয়ে আনতে গেলে তাদের ধাক্কা দিয়েই শহীদ মিনারের দিকে এগোতে থাকেন তারা। খালেদার ফুল দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকলেও সেখানে ফুল না দিয়ে মূল বেদিতে ওঠার চেষ্টা করেন খালেদাসহ দলটির নেতাকর্মীরা।
নিয়ম ভেঙে মূল বেদিতে ওঠার চেষ্টা করলে সেখানে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেন সেখানে দায়িত্বে থাকা বিএনসিসি ও স্কাউট সদস্যরা। এতে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদল ও চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা মারধর করেন, ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এমন অনাবাঙ্ক্ষিত ঘটনায় রাব্বি, রিয়াজ, জুয়েলসহ বেশ কয়েকজন স্কাউট সদস্য।
এসময় শহীদ বেদিতে ঘুরতে থাকেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ। তাকে পেয়ে স্কাউটের ছেলেরা বলতে থাকে, ‘স্যার (মওদুদ) আপনি সিনিয়র নেতা। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আপনার কথা শুনবেন। আপনার কথা সবাই শুনবেন। আপনি ম্যাডামসহ নেতাদের নিয়ে দ্রুত মূল বেদি ছাড়ুন।’
কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। এমনকি দলের নেতাকর্মীরা শহীদদের প্রতি এক প্রকার অসম্মান দেখিয়েই শহীদ বেদিতে জুতা নিয়েই উঠে যান। বিশৃঙ্খলা এভাবে ক্রমে বাড়তে থাকে। সেখানে বাদ যাননি দলের সিনিয়র নেতারাও।
এমনই বেশ কিছু বিশৃঙ্খল ঘটনার মধ্য দিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া শেষ করেন খালেদা জিয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যারিকেড তৈরি করতে হয়। মাইকে ঘোষণা দিলেও দলের নেতাকর্মীরা শান্ত হয়নি। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জোরালো পদক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
Prev Post